মমতার ডাকে সাড়া,করোনা রুখতে প্রচারে নোবেলজয়ীরা

  • নিজে রাস্তায় নেমেছেন আগেই
  • করোনা রুখতে প্রচারে নোবেলজয়ীরা
  • মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে কথা অভিজিৎবাবুর
  • প্রচার বার্তায় অভিজিৎবাবু ও তাঁর স্ত্রী 

নিজে রাস্তায় নেমেছেন আগেই। এবার করোনা ভাইরাস রুখতে নোবেলজয়ীদেরও প্রচারে চাইছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সম্প্রতি বাঙালি নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে মুখ্য়মন্ত্রীর। জানা গিয়েছে, অভিজিৎবাবু ও তাঁর স্ত্রী নোবেলজয়ী এস্টার ডুফলো বাংলার করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রচারে  নামবেন। তবে কীভাবে তাঁরা প্রচার করবেন তা এখনও জানা যায়নি।

রাজ্য়ে করোনা আক্রান্ত আরও ২, সংখ্যা বেড়ে ১৭.

Latest Videos

সূত্রের খবর, ভিডিয়ো বার্তায় করোনা রুখতে কঠোর নিয়মানুবর্তিতার কথা তুলে ধরবেন অভিজিৎজিৎবাবু। তাঁর সঙ্গে থাকবেন এস্টার ডুফলো। সোশ্য়াল মিডিয়ায় রাজ্য় সরকারের তরফে প্রচার করা হবে সেই বার্তা। রাজ্য়ের ওয়াকিবহাল মহলের মতে, করোনা নিয়ে রাজ্য়ের মধ্য়বিত্ত বাঙালির মধ্য়েও অসচেতনতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। লকডাউন ভেঙে এমনিতেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন অনেকে। আখেড়ে যাতে বিপদ বাড়ছে রাজ্য়বাসীর। বার বার বলেও এদের কোনও হেলদোল নেই।

লকডাউনে রাস্তায় কেন দিদি, 'ভাইরা কী শিখবেন' প্রশ্ন দিলীপের.

করোনা নিয়ে  সচেতন করতে নিজেই রাস্তায় নেমেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। দাঁড়িয়ে থেকে খাদ্য়দ্রব্য় বিলির পাশাপাশি বাজারে সোশ্য়াল ডিস্ট্য়ান্সিং বুঝিয়েছেন। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্য় বিজেপির সভাপতি  দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতার প্রশ্ন, মুখ্য়মন্ত্রী হয়ে নিজেই লকডাউন ভাঙছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তাহলে রাজ্য়বাসী তাঁর থেকে কী শিক্ষা নেবে।

রাজ্য়ের সাম্প্রতিক চিত্র বলছে, করোনা মোকাবিলায় নিজেই রাস্তায় নেমেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। 'সোশ্য়াল ডিস্ট্যান্সিং' বোঝাতে কলকাতার একাধিক বাজারে রাস্তায় দাগ কেটেছেনমমতা। দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে দূরত্ব বজায় রাখলে করোনা থেকে রক্ষা পাওয়াা যাবে। যদিও মুখ্য়মন্ত্রীর এই সাধু উদ্য়োগে আখেরে ক্ষতি দেখছেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি। ভিডিও বার্তায় দিলীপ ঘোষ। বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বের উন্নত সব দেশ শ্মশানে পরিণত হয়েছে। সেকথা জেনেও মুখ্যমন্ত্রী রোজ রাস্তায় বেরোচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে একাধিক লোক নিয়ে ঘুরছেন। মুখ্যমন্ত্রীর রাস্তায় বেরিয়ে খাবার বিতরণ করার দরকার নেই, লোককে বোঝানোর দরকার নেই। সেজন্য সরকারি কর্মচারীরা রয়েছেন। ক্লাব রয়েছে, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে আইন ভাঙলে সাধারণ মানুষ কেন আইন মানবে? একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাতেও এক অবস্থা। সেখানেও লকডাউন মানা হচ্ছে না । প্রচুর মানুষ রাস্তায় ভিড় জমাচ্ছেন।

বাংলার করোনায় দিল্লির গাফিলতি,তেহট্টের আক্রান্ত নিয়ে তথ্য় দেয়নি কেন্দ্র.

সারা দেশে লকডাউন। ২১দিনের জন্য় সবাইকে গৃহবন্দি থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিষ্কার বলে দিয়েছেন,দেশের এই লকডাউনকে হাল্কা ভাবে নেবেন না। এটা একপ্রকার কারফিউ। কিন্তু রাজ্য়ে এসে থেমে যাচ্ছে মোদীর ঘোষণা। এখানে নিত্যদিন পণ্য় পরিষেবা চালু রাখতে বাজার খোলা রাখার কথা বলেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তবে বাজারে বেরোতে মাস্কের সঙ্গে সঙ্গে বজায় রাখতে বলেছেন দূরত্ব। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজ্য়ের ওয়াকিবহাল মহল।
 

Share this article
click me!

Latest Videos

Guyana-র সরস্বতী বিদ্যা নিকেতন স্কুলে Narendra Modi, কথা বললেন পড়ুয়াদের সঙ্গে
‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
উপনির্বাচনে (By Election) কেমন ফল করবে বিজেপি? দেখুন কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News