বেহালার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনা সম্পর্কে রত্নার কাছ থেকে জানতে চান তিনি। এছাড়া এই ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেহালা থানাকে নির্দেশও দিয়েছেন।
বেহালায় প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর তারপর থেকেই তৃণমূলের অন্দরে বেড়ে গিয়েছে অস্বস্তি। ঘটনার পর দেড় দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি তৃণমূল কংগ্রেস যুব সভাপতি বাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অবশ্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন বাপনের স্ত্রী। রত্নার কাছে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও রত্না সাফ জানিয়ে দেন অবিলম্বে বাপনকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এমনকী, এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ঘটনা সম্পর্কে রত্নার কাছ থেকে জানতে চান তিনি। এছাড়া এই ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেহালা থানাকে নির্দেশও দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতভর বেহালার চড়কতলায় বাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তান্ডব চালানো হয়। বোমা-গুলি কোনও কিছুই বাদ যায়নি। এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা স্কুল গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। এলাকার বেশ কিছু বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনায় এক মহিলা-সহ দুজন গুরুতর জখম হন। এলাকায় এখনও রয়েছে আতঙ্কের ছায়া। সিসিটিভিতে ধরা পড়ে গোটা ঘটনা।
আরও পড়ুন- 'যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, সেখানে একটা ঘটনাও লজ্জার', হাঁসখালি নিয়ে মন্তব্য সৌগতর
এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর এই তান্ডব রাজ্যে নতুন নয়। বেহালা পূর্বের বাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লালটু এই দুই তৃণমূল নেতার গোষ্ঠী সংঘর্ষ এর আগেও এলাকায় দেখা গিয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার এর রাত এর আগে দেখেননি এলাকাবাসী। এদিকে ঘটনার পরই গা ঢাকা দেন বাপন সহ তৃণমূলের ওই গোষ্ঠীর কর্মীরা। ঘটনার পরই একটি অডিও ভাইরাল হয়। তাতে তৃণমূল নেতা বাপন বন্দোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, "১২১ নম্বর থেকে ১০ দিনে ২০ লক্ষ টাকা তুলেছি।" এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বাপনকে।
আরও পড়ুন- হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে কেস ডাইরি হাতে নিল সিবিআই, আজই নির্যাতিতার বাড়িতে প্রতিনিধি দল
বেহালার এই ঘটনার উপর নজর রাখছেন মমতা। এই ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেহালা থাকাকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এমন কাজ করলে কাউকে রেয়াত করা হবে না বলেও তিনি বার্তা দিয়েছেন। এদিকে বুধবারই ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে যান রত্না। সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ঘটনার দিন পরিস্থিতি ঠিক কেমন ছিল তাও জানতে চান। এরপরই তাঁকে ফোন করে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চান মমতা। আবার আজ রত্নার কাছে গিয়ে ক্ষমা চান বাপনের স্ত্রী। রত্নার কথায়, বাপন অন্যায় করে থাকলে শাস্তি পাবেন। লুকিয়ে না থেকে তাঁর উচিত আত্মসমর্পণ করা।