সংক্ষিপ্ত
হাঁসখালি গণধর্ষণ ও মৃত্যুর মামলায় কেসডাইরি হাতে নিল সিবিআই। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার বাড়িতেও যেতে পারেন সিবিআই-র ওই বিশেষ প্রতিনিধি দল।
হাঁসখালি গণধর্ষণ ও মৃত্যুর মামলায় কেসডাইরি হাতে নিল সিবিআই। গণধর্ষণকাণ্ডে তদন্তভার নিয়ে গতকাল গভীর রাতে হাঁসখালি থানায় পৌছয় সিবিআইয়ের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখানে ৪ ঘন্টা কথা হয় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার বাড়িতেও যেতে পারেন সিবিআই-র ওই বিশেষ প্রতিনিধি দল। ওই দলে রয়েছেন দুইজন মহিলা আধিকারিকও। সিবিআই প্রতিনিধির দল কেস সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পুলিশের থেকে সংগ্রহ করে। কেস ডাইরি হাতে নেন তাঁরা।
সিবিআই সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই হাঁসখালি থানার কাছে এফআইআর-র কপি চেয়েছিল সিবিআই। থানা সেই কপি ইমেল করে পাঠিয়েওছিল। খুন, গণধর্ষণ তথ্য প্রমাণ লোপাটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়েও মামলা শুরু করেছে সিবিআই। হাঁসখালিকাণ্ডের পর যারা দায়িত্ব ছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। উল্লেখ্য, সূত্রে খবর, ৪ এপ্রিল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। এরপর জন্মদিনে ডেকে তাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। এরপরেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস। রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। অভিযোগ এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে ওই নাবালিকা। এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। এরপরেই অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।এদিকে নৃশংসঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। অপরাধ ঢাকতে দেহ সৎকারে বাধ্য করে বজ্রগোপাল। তাই মাঝে কয়েকদিন কেউ কিছু জানতে পারেনি।
আরও পড়ুন, ধৃত সত্যবানের হোটেল থেকেই কি তপন কান্দু খুনের ষড়যন্ত্র ? বিস্ফোরক তথ্যের তদন্তে সিবিআই
ঘটনার পরেই শনিবার হাঁসখালি থানায় নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগে জানানো হয়। মেয়ের মৃত্যুর পরে বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে। আর তাতে জড়িত ছিল ব্রজগোপাল এবং তার দলবল। এরপরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ব্রজগোপালকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে হাঁসখালি থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মৃতের মা-বাবা গণধর্ষণের অভিযোগ করলেও ,এফআইআর-এ ধর্ষণের অভিযোগ করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। তাঁছাড়া ৪ দিন ধরে কী করেছে হাসখালি থানার পুলিশ শেই প্রশ্নও উঠেছে। তবে এদিন নির্যাতিতার বাড়ি গেলে আৎও কিছু নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন, 'ভালোবাসার পর তাঁকে পুড়িয়ে ফেলার অধিকার আছে কি', ধর্ষণকাণ্ডে মমতাকে প্রশ্ন তনুজার