নবান্নের পর এবার রাস্তায় নেমে 'সোশ্য়াল ডিস্ট্যান্সিং' বোঝালেন মুখ্য়মন্ত্রী। লকডাউনে কলকাতার একাধিক বাজারে নেমে রাস্তায় দাগ কাটলেন মমতা। দেখিয়ে দিলেন কীভাবে দূরত্ব বজায় রাখলে করোনা থেকে রক্ষা পাওয়াা যাবে। যদিও মুখ্য়মন্ত্রীর এই সাধু উদ্য়োগে আখেরে ক্ষতি দেখছেন বিরোধীরা।
মহিলা যাত্রীর করোনা উপসর্গ, বাস নিয়ে সোজা বেলেঘাটা আইডিতে ঢুকে পড়ে চালক.
সারা দেশে লকডাউন। ২১দিনের জন্য় সবাইকে গৃহবন্দি থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিষ্কার বলে দিয়েছেন,দেশের এই লকডাউনকে হাল্কা ভাবে নেবেন না। এটা একপ্রকার কারফিউ। কিন্তু রাজ্য়ে এসে থেমে যাচ্ছে মোদীর ঘোষণা। এখানে নিত্যদিন পণ্য় পরিষেবা চালু রাখতে বাজার খোলা রাখার কথা বলেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তবে বাজারে বেরোতে মাস্কের সঙ্গে সঙ্গে বজায় রাখতে বলেছেন দূরত্ব। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজ্য়ের ওয়াকিবহাল মহল।
করোনায় মৃত্যু সন্দেহে আটকে গেল সৎকার, দমদমের মতো পরিস্থিতি মেদিনীপুরে
সবার মুখেই এক কথা, কে কখন বাজারে বেরোবেন তা ঘরে বসে মানুষ বুঝবে কী করে। মুখ্য়মন্ত্রীই যখন সব খোলা রাখার কথা বলছেন, তখন পুলিশ দোকান বন্ধের কথা কেন বলেছে। কেন লাগাতার পেটানো হচ্ছে পণ্য় সরবরাহকারীদের। নবান্নে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্য়মন্ত্রী নিজেই বলেছেন, রাজ্য়বাসীর মুদিখানার সদাইও কি সরকার করে দেবে? দেখা যাচ্ছে, মুখ্য়মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য়ের লকডাউন নিয়ে এক বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। যেখানে বাজার করতে গেলে পুলিশি হেনস্থার মুেক পড়ছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে, নিজেই বাজারে কীভাবে দূরত্ব রেখে দাঁড়াতে হবে তা এঁকে বোঝাচ্ছেন মুখ্য়মন্ত্রী।
No words... pic.twitter.com/zqejgnntvk
— Citizen Derek | নাগরিক ডেরেক (@derekobrienmp) March 26, 2020
করোনা রুখতে সুচিত্রা সেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ছবি.
এদিন পোস্তা, জানবাজার, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডে গিয়ে বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্য়মন্ত্রী। ক্রেতা বিক্রেতাদের স্বার্থে কতটা দূরে দাঁড়াতে হবে তা রাস্তায় এঁকে দেখান তিনি। যদিও লকডাউনে মুখ্য়মন্ত্রী এই ভিজিট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন, লকডাউনে মুখ্য়মন্ত্রীর বাইরে বেরোনোয় ভিড় জড় হচ্ছে। যা কখনোই কাম্য নয়। সম্প্রতি হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়েও মাস্ক দিয়ে এসেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী।
এদিকে করোনা রোধী মাস্ক না পেয়ে বুধবার বেলেঘাটা আইডিতে বিক্ষোভে নেমেছে নার্স , স্বাস্থ্য়কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, বার বার বলা সত্ত্বেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী এন৯৫ মাস্ক পাচ্ছেন না তারা। এমনকী রাজারহাটের কোয়রান্টিন সেন্টারেও যে গাড়িতে রোগী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেই গাড়িতেই তাদের আসতে বাধ্য় করা হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধী সঠিক পরিদানও দেওয়া হচ্ছে না তাদের। যার জেরে নিজেদের কর্তব্য করতে গিয়েও জীবনের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে তাদের।
এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন নার্সরা। তাদের অভিযোগ, এরকম চললে আগামী দিনে কর্তব্য়ে বেঁকে বসবে স্বাস্থ্য় কর্মীরা। আগেই এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।