চারদিন আগে বৃদ্ধের মৃত্যু, দেহ আগলে বাড়িতে বসে থাকল ছেলে

  • ফের রবিনসন স্ট্রিটে কাণ্ডের ছায়া শহরে
  • বেহালায় বাবা ছেলে আগলে রাখল ছেলে
  • চারদিন আগে মারা গিয়েছেন ওই  বৃদ্ধ
  • প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের

Tanumoy Ghoshal | Published : Jan 3, 2020 7:24 AM IST / Updated: Jan 03 2020, 12:56 PM IST

সাড়ে চার বছর আগের স্মৃতি ফিরল শহরে। চারদিন ধরে বাড়িতে বাবার দেহ আগলে রাখলেন ছেলে। ফের রবিনসন স্টিট কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটল বেহালায়। হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। 

মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, আলাদা থাকেন বড় ছেলে। বেহালার পর্ণশ্রীর ডঃ এনজি শাহ রোডে ছোট ছেলের সঙ্গে থাকতেন পঁচাশি বছরের বৃদ্ধা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।  দীর্ঘদিন ধরেই তিনি যক্ষ্মায় ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জানিয়েছেন, একটি নিরাপত্তা সংস্থায় চাকরি করেন ওই বৃদ্ধের ছোট ছেলে অজিত। মানসিকভাবে খুব সুস্থ নন তিনি। প্রতিবেশীদের দাবি, গত কয়েক দিন ধরেই কাজে যাচ্ছিলেন না অজিত। তিনি যে নিরাপত্তা সংস্থায় চাকরি করেন, সেই নিরাপত্তা সংস্থার থেকে কয়েকজন এসেছিলেন বাড়িতে। তাঁদের অজিত জানায়, দিন তিনেক আগে রবীন্দ্রনাথ মারা গিয়েছেন।  ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় বেহালার পর্ণশ্রীতে।  থানায় খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়ি থেকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পচগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন: বৃষ্টি চলছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে, সকাল থেকেই শুনসান তিলোত্তমার রাজপথ

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত ররিবারের পর থেকে রবীন্দ্রনাথবাবুকে আর বাড়ির বাইরে বেরোতে দেখেননি তাঁরা। সেদিনই সম্ভবত তিনি মারা যান বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।  কিন্তু প্রতিবেশীরা কিছু টের পেলেন না কেন? তাঁদের বক্তব্য, গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ির দরজা ও জানলা বন্ধ করে রেখেছিলেন মৃতের ছোট ছেলে অজিত। বৃহস্পতিবার পুলিশ দরজা খুলে যখন বাড়ির ভিতরে ঢুকে, তখনই প্রথম  দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। 

বছরে চারেক আগে শহরের অভিজাত এলাকা রবিনসন স্ট্রিটের একটি বাড়ি দিদির মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন ভাই পার্থ দে।  ঘটনা পর দীর্ঘদিন তাঁকে রাখা হয়েছিল পাভলভ মানসিক হাসপাতালে। বাড়ি ফেরার পরে ২০১৭ সালে বাথরুম অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান পার্থও।  তারপর এ শহরে এমন ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে।  কয়েক মাস আগে বেহালারই সরশুনায় একটি আবাসনে এক যুবকের দেহ আগলে বসেছিলেন তাঁর বাবা-মা ও বোন। 

Share this article
click me!