নারদ মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়, বিশেষ আদালতের সমন রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীকে

কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নারদ মামলার চার্জশিট পেশ করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী এবং এক পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে সমন জারি করার নির্দেশ দিল আদালত। 

Asianet News Bangla | Published : Sep 1, 2021 11:35 AM IST

নারদ মামলায় নয়া মোড়। বুধবার, পশ্চিমবঙ্গের চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী এবং এক প্রাক্তন পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে সমন জারি করার নির্দেশ দিল এক বিশেষ সিবিআই আদালত। তাদের ১৭ এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট-এর জফতরে হাজিরা দিতে হবে। নারদা স্টিং টেপ মামলায় অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের অধীনে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট যে চার্জশিট পেশ করেছে, তার ভিত্তিতেই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।  

এদিন, কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের এক বিশেষ এজলাসে নারদ মামলার চার্জশিট পেশ করে ইডি। সেখানে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও নাম রয়েছে কামারহাটির তৃণমূল সাংসদ মদন মিত্র, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সাসপেন্ড হওয়া আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার নাম রয়েছে। আদালত জানিয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্র - তিনজনেই সাংসদ। তই তাঁদের সমন পাঠানো হবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকারের কার্যালয়ের মাধ্যমে। নোটিশ পাঠানো হয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অবগত করতে হবে আদালতকে। অন্য দুজনকে সরাসরি তাদের ঠিকানায় সমন পাঠিয়ে তলব করা হবে।

নারদ স্টিং অপারেশনটি করেছিলেন নারদ সংবাদের প্রতিষ্ঠাতা ম্যাথু স্যামুয়েল। পশ্চিমবঙ্গে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এই গোপন অভিযান চালিয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের নির্বাচনের ঠিক আগে এই ফুটেজগুলি প্রকাশ্যে এসেছিল। তৃণমূলের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সাংসদ এবং নেতাদের ক্যামেরার সামনেই অর্থ গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল।

আরও পড়ুন - স্ত্রীর গোপনাঙ্গ সেলাই করে দিল হাতুড়ে ডাক্তার, ভারতে বাড়ছে সন্দেহবাতিক স্বামীর সংখ্যা

আরও পড়ুন - Viral Video - রিক্সায় লাফিয়ে উঠে প্রকাশ্যে যুবতীকে চুমু, পাকিস্তানও প্রায় তালিবানিস্তান

আরও পড়ুন - ১২ ঘন্টা পরও নেই মমতার শোকবার্তা, কেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শেষ দিনও ব্রাত্য বুদ্ধদেব গুহ

চলতি বছরের মে মাসে বিধানসবা নির্বাচনের পরপরই নারদ মামলার তদন্তের গতি বাড়িয়েছিল সিবিআই। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্য়ায়কে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বহু নাটক, এমনকী সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে আসার পর কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের রায়ে, গত ২৫ মে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন তাঁরা।

Share this article
click me!