৪জনের বেশি ঢুকতে বাধা শ্মশানে, করোনা রুখতে নয়া বিধি পুরসভার

  •  শ্মশানে ভিড় জমাচ্ছে পরিবারের লোকজন
  • লকডাউনেও ভিড় ঠেকানো যাচ্ছে না শ্মশানে
  • করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় শ্মশানে নজরদারি
  • দেহের সঙ্গে শ্মশানে ঢোকার অনুমতি পাবেন চারজন 

Asianet News Bangla | Published : Mar 29, 2020 7:40 AM IST / Updated: Mar 29 2020, 01:32 PM IST

আত্মীয়ের মৃত্য়ুতে শ্মশানে ভিড় জমাচ্ছে পরিবারের লোকজন। লকডাউনেও ভিড় ঠেকানো যাচ্ছে না কলকাতার শ্মশানঘাটগুলিতে। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় এবার কলকাতার শ্মশানঘাঁটে কড়া নজরদারি শুরু করল কলকাতা পুরসভা। এবার থেকে মৃতদেহের সঙ্গে কেবল শ্মশানে ঢোকার অনুমতি পাবেন চারজন। সম্প্রতি এই বিধিনিষেধে আরোপ করেছেন কলকাতা পুরসভা।

সন্দেহের বশে যুবককে করোনা আক্রান্ত তকমা, ফেসবুক পোস্টে জেলে কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা

লাঠি পিটিয়ে কিছুটা হলেও বেগে এসেছে অবাধ্য় কলকাতা। লকডাউনে অতি প্রয়োজন ছাড়া এখন আর বড় রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না মহানগরবাসীকে। কিন্তু উল্টো পথে থেকে যাচ্ছে সংক্রমণের আশঙ্কা। সেকারণে শ্মশানঘাটের দিকে নজর দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কেএমসির ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, কোনওভাবেই দেহের সঙ্গে চারজনের বেশি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না শ্মশানে। এমনকী শ্মশানকর্মীদেরও বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোওয়ার পাশাপাশি স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে।  মাস্ক ব্য়বহার করার কথা বলা হয়েছে তাঁদের।

মমতার ডাকে সাড়া,করোনা রুখতে প্রচারে নোবেলজয়ীরা

পুরসভার এক কর্তা জানিয়েছেন, করোনা থেকে রেহাই পেতে শ্মশানেও জীবাণূমুক্তকরণ করা হচ্ছে। কলকাতার শ্মশানচিত্র বলছে, নিমতলা ও কেওড়াতলায় প্রতিদিন ৭০-৮০টি দেহের সৎকার হয়। রতনবাবু ঘাট, কাশী মিত্র ঘাট, সিরিটি এবং গড়িয়া শ্মশানে দেহ দাহর সংখ্যা দিনে ২০। নিমতলা ও কেওড়াতলা শ্মশানে মোট কর্মীর সংখ্যা ৩০ জন। তাই নতুন করে শ্মশানে ভিড় চাইছে না পুরসভা। ইতিমধ্য়েই মাইকিং করে পরিবারের ১০-১২ জনের পরিবর্তে ৪ জনকে ঢুকতে বলছেে শ্মশান কর্তৃপক্ষ।

মমতার ডাকে সাড়া,করোনা রুখতে প্রচারে নোবেলজয়ীরা

ভিড়ে গা ঘেঁষাঘেষি করে  শ্মশানযাত্রীদের দাঁড়াতে দেখলেই সতর্ক করছেন তাঁরা। এমনকী মৃতের বেশি আত্মীয়স্বজন দেখলে তাদের দেহের পাশে পালা করে দাঁড়াতে বলছেন। কদিন আগেই রাজ্য়ে প্রথম করোনায় মৃতকে নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নিমতলা  শ্মশান। দমদমের ওই ব্য়ক্তি করোনায় মৃত্যু হওয়ায় দেহ পোড়াতে বাধা দেয় এলকাবাসী। এমনকী পুলিশ গেলেও পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়। পরে বিপদে বুঝতে পেরে ধাপার মাঠে করোনায় মৃতদের সৎকারের ব্য়বস্থা করেছে রাজ্য় সরকার। 
 

Share this article
click me!