সংক্রমণ রুখতে সংশোধনাগারে বড়সড় পদক্ষেপ, রাজ্য়ে 'করোনা' মুক্তি ৩০৭৮ বন্দীর

  • রাজ্যের সংশোধনাগারে 'করোনা' মুক্তি মোট ৩০৭৮ বন্দীর 
  • সম্প্রতি করোনা'য় মুক্তি নিয়ে সংশোধনাগারে আন্দোলন চলে  
  • তিন মাসের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ বিশেষ কমিটির 
  •  ধর্ষণ, খুনের অপরাধে বন্দীদের, মুক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি 


 

Ritam Talukder | Published : Mar 29, 2020 5:43 AM IST


করোনাভাইরাস গোষ্ঠী সংক্রমণের ভয়ে কাঁপছে সারা বিশ্ব। সেই তালিকায় বাদ নেই ভারতও। যার জেরে করোনা রুখতে একদিনের জনতা কার্ফুর পর টানা ২১ দিনের জন্য দেশ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে গোষ্ঠী সংক্রমণের তীব্র ভয় দেশের সংশোধনাগার গুলিতেও। তাই গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের সংশোধনাগারে 'করোনা' মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মোট ৩০৭৮ বন্দীর। 

আরও দেখুন, নিজেদের জীবন বিপন্ন করে সাধারণের পাশে কলকাতা পুলিশ, দেখুন সেরা ১২টি ছবি


সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের আতঙ্কের জেরে, জেল মুক্তির আন্দোলনে ধুন্ধুমার বাঁধে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। ভয়াবহভাবে আগুন লেগে যায়। সংর্ঘষে কয়েকজন বন্দির মৃত্যুও হয়। এরপরই  দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ৮৯ জন বিচারাধীন বন্দীকে জেলের ভিড় কমাতে নেওয়া হয় করোনা মুক্তির সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ১৬৮, হাওড়া সংশোধনাগারে ৭৯, মালদা ১৪০, জলপাইগুড়ি ১৪৮, বর্ধমান ৫৯,  এবং আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের ১৪ বিচারাধীন বন্দীকে করোনার জেরে অন্তর্বর্তী জামিনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত মোট  ১০১৮ বন্দিকে তিন মাসের জন্য প্যারোলে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত রাজ্যের বিশেষ কমিটি। পাশাপাশি অপরাধের খাতায় নাম লেখানো ২০৬০ বিচারাধীন বন্দীকে তিন মাসের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ বিশেষ কমিটির। 

আরও পড়ুন, সন্দেহের বশে যুবককে করোনা আক্রান্ত তকমা, ফেসবুক পোস্টে জেলে কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা


গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে সুপ্রিম কোর্ট তাই দেশের সংশোধনাগারগুলির ভিড় কমাতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য গুলোকে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেয়। শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পর ১৯ মার্চ রাজ্যের এ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেন। এরপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ, বিশেষ কমিটি করে দেয়। এই বিশেষ কমিটিতে আছেন রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি চেয়ারম্যান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, রাজ্যের কারা বিভাগের অধিকর্তা এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরেরপ্রধান সচিব। এরপর ২৭ মার্চ বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় বিশেষ কমিটি। সেখানেই ৩০০০ বেশি বন্দিকে ছাড়ার সুপারিশের প্রস্তাব ওঠে। রাজ্যের সংশোধনাগার গুলিতে এই মুহূর্তে সাড়ে ২৬০০০ বন্দী রয়েছে। করোনা সংক্রমণ আটকাতে  সংশোধনাগার গুলির ভিড় কমাতেই এই সিদ্ধান্ত। শুক্রবার সিদ্ধান্ত হলেও শনিবার পর্যন্ত জরুরী কাগজপত্র তৈরিতে সময় লেগে যায়। সেক্ষেত্রে সোমবার থেকে বন্দিরা হয়তো করোনা মুক্তি পাবেন। উল্লেখ্য়, পকসো, ধর্ষণ, খুন  অপরাধের বন্দীদের মুক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। ৬ এপ্রিল ফের বৈঠকে বসবে বিশেষ কমিটি।

আরও পড়ুন, এবার করোনা আক্রান্ত উত্তরবঙ্গে, রাজ্য়ে সংখ্যা বেড়ে ১৮

 

Share this article
click me!