এগিয়ে আসছে পুরসভা ভোট। তবে বিধানসভা ভোটের থেকে বুথ পিছু ভোটার সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে কমিশন।
হাইকোর্টে মামলা চললেও ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে পুরভোটের(Kolkata Municipality Election) প্রস্তুতি। শনিবারই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচবিবের (Chief Secretary) সঙ্গে বৈঠকও সেড়ে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা ছাড়াও শনিবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি ডিজি (আইন শৃঙ্খলা) জাভেদ শামীম এবং স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপও। তাতেই ঠিক হয় এবারের নির্বাচনে(election) বুথপিছু ভোটারের(voter) সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে।
এদিকে রাজ্যের প্রস্তাবে সায় দিয়ে ইতিমধ্যে আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরসভায় নির্বাচনে সায় দিয়েছে কমিশন। যারই তোড়জোড় চলছে পুরোদমে। এদিকে বিধানসভা ভোটে প্রতি ১ হাজার ভোটারের জন্য একটি করে বুথ নির্দিষ্ট করেছিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তা বর্তমানে বেড়ে বুথ পিছু ১২০০ হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন - পুরভোট নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা কমিশনের, সবরকম সহায্যের আশ্বাস মুখ্যসচিবের
মূলত করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করেই বিধানসভায় এক হাজার ভোটারপিছু একটি বুথ করা হয়েছিল। বর্তমানে করোনা ফাঁস অনেকটাই আলগা হওয়ায় ফের বুথ পিছু ভোটারের সংখ্যা বাড়াতে চাইছে কমিশন। আগামী ৭ নভেম্বর ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। তার ভিত্তিতেই বাকি বিষয়গুলি ও ভোট প্রক্রিয়ার যাবতীয় নির্দেশাবলী প্রস্তুত হবে বলে খবর।
নজরে গোয়া, মহুয়ার ব্যাটে ভর করেই গোয়ায় ঝড়ো ইনিংসের পথে মমতা
পরিসংখ্যান বলছে কলকাতা পুরসভা এলাকায় প্রায় ৪৭০০টি বুথ রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে বুথসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৫২০০। বালি-সহ হাওড়া পুরসভাতে বুথসংখ্যা প্রায় ১২০০-র উপরে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে বালি পুরসভা হাওড়া থেকে বাদ গেলে পরিস্থিতি খানিক আলাদা হবে। অন্যদিকে ভোটের আগে কোনোরকম রাজনৈতিক অশান্তি ঠেকাতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রুখতে কোমড় বেঁধে নামতে চলেছে কমিশন। বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।
আরও পড়ুন - বিএসএফ-এর সম্মানহানির অভিযোগ, উদয়নকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের নিরাপত্তা-রূপরেখা দ্রুত জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ। দুটি পুরসভার সব কটি ওয়ার্ডে আইন-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি পুলিশ, ভোট কর্মী, বুথের পরিকাঠামো, করোনা নিয়ন্ত্রণের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাতে ঠিকঠাক দেখভাল করা হয় তা দেখতেও বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কমিশনকে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও।