সংক্ষিপ্ত

১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার নির্বাচনে সিলমোহর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমতাবস্থায় শনিবার নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচবিবের সঙ্গে বৈঠকও সেড়ে ফেলল কমিশন।

বেজে গিয়েছে পুরভোটের (Municipal Polls) দামামা। পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতিও। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের প্রস্তাব মেনে ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার নির্বাচনে (Kolkata Municipality Election) সিলমোহর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এমতাবস্থায় শনিবার নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচবিবের সঙ্গে বৈঠকও সেড়ে ফেলল কমিশন। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর (Chief Secretary Harikrishna Dwivedi) সঙ্গে ওই বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিবও। পুরভোটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই বৈঠকেই বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে জানা যাচ্ছে।

 আরও পড়ুন - নজরে গোয়া, মহুয়ার ব্যাটে ভর করেই গোয়ায় ঝড়ো ইনিংসের পথে মমতা

শবিবারের বৈঠকেই বুথের পরিকাঠামো নিয়ন্ত্রণের জন্য সবরকম আশ্বাস দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ভোট সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়েও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে খবক। অন্যদিকে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা ছাড়া এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি ডিজি (আইন শৃঙ্খলা) জাভেদ শামীম এবং স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ। কলকাতা–হাওড়ার পর রাজ্যের বাকি থাকা সমস্ত পুরসভার নির্বাচন কবে হবে তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়।

বিএসএফ-এর সম্মানহানির অভিযোগ, উদয়নকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

এর আগে শুক্রবারই কলকাতা ও হাওড়া জেলার নির্বাচন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয় রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারের। তারপরেই ফের তিনি বৈঠকে বসলেন শনিবার। ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়ামোট ১৯৪টি ওয়ার্ডে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্রের খবর, সব কটি ওয়ার্ডে আইন-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি পুলিশ, ভোট কর্মী, বুথের পরিকাঠামো, করোনা নিয়ন্ত্রণের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাতে ঠিকঠাক দেখভাল করা হয় সেই বিষয়ে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে। পাল্টা আশ্বাস দেওয়া রাজ্যের মুখ্যসচিবের তরফে।

আরও পড়ুন - কেন্দ্রের বিরোধিতাই কাল, বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি ঘিরে বাড়ছে চাপানউতর

শনিবারের বৈঠকেই রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে বুথগুলির নিরাপত্তার বিষয়ে তৈরি করা খসড়া পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্য ও কমিশনের তরফে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক হলেও ইতিমধ্যেই সবকটি পৌরসভার ভোট কেন একসঙ্গে করানো হচ্ছে না সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। মঙ্গলবারই রয়েছে সেই মামলার শুনানি। সেখানে হাইকোর্টের তরফে কী রায় দেওয়া হয় সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের। তবে ভোট যেদিনই হোক প্রস্তুতিতে যাতে কোনও খামতি না থাকে সেই বিষয়টিতেই বিশেষ নজর দিতে চাইছে কমিশন।