সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার সিতাইয়ের গুলি কাণ্ডের পর সরাসরি বিএসএফকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। এবার পাল্টা তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী
সিতাইয়ে বিএসএফ-র (BSF) গুলি কাণ্ডে ক্রমেই চড়ছে রাজনীতির পারদ। এদিকে শুক্রবারের ওই ঘটনার পর সরাসরি বিএসএফকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ (Trinamool leader Udayan Guha)। এমনকী সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগও করেন। তাঁর দাবি বিএসএফ-র মদতেই সীমান্তবর্তী এলাকায় গরুপাচারকারীদের এত বাড়বাড়ন্ত। বিএসএফ-এর মদত ছাড়া সীমান্তে কোনও কিছুই পাচার করা সম্ভব নয়। এবার তার এই মন্তব্যের পাল্টা দিতে দেখা গেল বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (BJP leader Shuvendu Adhikari)।
দীর্ঘদিন পর পশ্চিম মেদিনীপুরে কোনও কর্মসুচীতে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের গান্ধীমুর্তি মোড়ে একটি ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ও কেরানীতলাতে একটি জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন ৷ সারাদিনের ব্যস্ত কর্মসূচিতে জেলা বিজেপির কার্যালয়েও হাজির হয়েছিলেন তিনি৷ সেখানেই সিতাইয়ের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিএসএফ নিয়ে উদয়ন গুহ-র মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকারের ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত। বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল এরা সবসময় ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে কথা বলে থাকে। দেশের স্বার্থ কখনওই ভাবে না।”
আরও পড়ুন - গরু পাচারের মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে, সিতাই গুলিকাণ্ডে দাবি মৃতের পরিবারের
এখানেই না থেমে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, “উদয় গুহ বরাবরই এই ধরনের মন্তব্য করে থাকেন, বিএসএফকে ছোট করা সমান দেশকে ছোট করা। পুরো দেশকেই সুরক্ষিত রাখে এই বিএসএফ জওয়ান। বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী ও গরু পাচারকারীদের সঙ্গে যা হওয়া উচিত তাই বিএসএফ করেছে। আজকে বিএসএফ যা করেছে তার জন্য গর্ব অনুভব করি।" সেই সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “এখানে তৃণমূল সিপিএম কংগ্রেস বিজেপি বিরোধীতার লক্ষ্যে একসরেই কথা বলবে। ওদের বাইরে লড়াইটা মক ফাইটিং। বিজেপি একমাত্র বিরোধী। আমরা রুলিং পার্টি হতে পারিনি দুধেল গাই দের জন্য। অধীর চৌধুরী তো এখন বিএসএফ প্রসঙ্গেও মন্তব্য করবে নিজস্ব ভোটব্যাংকে রক্ষা করার জন্য। এটা দেশের পক্ষে নয়, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা হু হু করে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে। রাজ্যের ডেমোগ্রাফি চেঞ্জ হচ্ছে।”
আরও পড়ুন - গরুপাচারের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে, সিতাই কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি মৃতের স্ত্রীর
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সিতাইয়ের চামটা এলাকায় বিএসএফ-এর গুলিতে তিন সন্দেহভাজন গরু পাচারকারীর মৃত্যু হয়। মৃত তিনজনের মধ্যে এক জন ভারতীয়, বাকি দু’জন বাংলাদেশের নাগরিক। মৃত ভারতীয়ের নাম প্রকাশ বর্মণ। যার মৃত্যু নিয়ে গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে বিস্তর রাজনৈতিক তরজা। মাথায় গুলি লেগে প্রকাশ বর্মণের মৃত্যু কেন হল সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল থেকে।