করোনার রোগী সন্দেহে বৃদ্ধকে বেধড়ক মার, স্যালাইনের চ্যানেল করা হাতে দড়ি পড়ালো মানিকতলাবাসী

  • ঘটনা ঘটেছে মানিকতলার ১৫ নম্বর বস্তিতে 
  •  করোনার ভয়ে  মারধরের অভিযোগ এই প্রথম 
  • এরপর খবর দেওয়া হয় মানিকতলা থানাতে  
  • সত্তরোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধের নাম নারায়ণ চৌরাসিয়া 

Ritam Talukder | Published : Apr 8, 2020 4:18 AM IST / Updated: Apr 08 2020, 10:47 AM IST

করোনার রোগী সন্দেহে বৃদ্ধকে বেধড়ক মার মানিকতলায়। বৃদ্ধের মাথায় সার্জিক্যাল ক্যাপ, মুখে মাস্ক, স্যালাইনের চ্যানেল করা হাত দেখে মানিকতলার ১৫ নম্বর বস্তিতে পড়ে গেল ধুন্ধুমার। এলাকায় ঢুকতেই অনেকেই বন্ধ করে দিল দরজা-জানালা। তারপর গাছের সঙ্গে সত্তরোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধকে বেঁধে এলাকাবাসী চালালো অমানুষিক অত্য়াচার বলে অভিযোগ।

শহরে দেদার শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ, মোট ৯৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ

 সোমবার সন্ধ্যায় এমনই ঘটনা ঘটেছে মানিকতলার ১৫ নম্বর বস্তিতে। দীর্ঘ সময় পরে পাড়ারই এক ব্যক্তি চিনতে পারেন বৃদ্ধকে। মানিকতলারই ক্যানাল ইস্ট রোডের পাশের পাড়ায় তাঁর বাড়ি। করোনায় নয়, লিভারের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন তিনি। সত্তরোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধের পাড়ায় গিয়ে জানা গেল, তাঁর নাম নারায়ণ চৌরাসিয়া। টালির চালের ঘরে তিনি একাই থাকেন।  বহু বছর ধরে ক্যানাল ইস্ট রোডের কাছেই অন্যত্র থাকেন, ওই বৃদ্ধের স্ত্রী-কন্যারা । লিভারের সমস্যায় ভোগা বৃদ্ধকে সম্প্রতি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন পাড়ারই লোকজন। তারপর খবর পেয়ে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন স্ত্রী। সোমবার সকালেই বৃদ্ধকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে পরিবারের লোকজন চলে যেতেই বেরিয়ে পড়েন বৃদ্ধ। হাঁটতে হাঁটতে চলে যান ১৫ নম্বর বস্তিতে।

বাড়িতে আলো জ্বালাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, মোমবাতি হাতে রাস্তায় অতি উৎসাহীরা


অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর দেওয়া হয়েছিল মানিকতলা থানাতেও। সেখানকার পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বলেন, 'এই ধরনের রোগীকে আমাদের ধরাটা ঠিক হবে না। লালবাজারের অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়েছে। সেই অ্যাম্বুল্যান্সই যেখানে নেওয়ার নিয়ে যাবে।'এদিকে ততক্ষণ অবশ্য বাঁধাই থাকেন বৃদ্ধ। পরে এলাকার এক ব্যক্তি চিনতে পারেন তাঁকে। বৃদ্ধের পাড়ার লোক তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পরে পুলিশও চলে যায়। মানিকতলা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক অবশ্য এ ব্যাপারে দাবি করেন, 'বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে অবশ্যই দেখছি।' উল্লেখ্য়,সম্প্রতি করোনা আতঙ্কে গিরিশ পার্কের এক রোগীকে জ্বর থাকায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। তবে করোনার ভয়ে কাউকে বেঁধে রাখার এবং মারধরের এমন অভিযোগ এই প্রথম। অনেকের মতে, করোনা নিয়ে মানুষের সচেতনতার কতটা অভাব, এই ঘটনাই তার জলজ্য়ান্ত প্রমাণ।

 

 

 রাজ্য়ে করোনায় আক্রান্ত এবার এক নার্স, পরিবারকে কোয়ারেনটাইনে থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের

করোনা আক্রান্তদের এমআর বাঙ্গুরে স্থানান্তর ঘিরে তুলকালাম, অভিযোগ নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে নার্সরা

পাঁচিল টপকালেই ভাইরাস এক্সপার্ট সেন্টার, তবুও মুখ ফিরিয়ে মেডিক্য়াল কলেজ

Share this article
click me!