পুরভোটের সময় ইভিএম মেশিনে কারচুপির অভিযোগে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ইতিমধ্যেই বড়তলা থানা লালবাজারকে জানিয়েছে।
পুরভোটের সময় ইভিএম মেশিনে কারচুপির অভিযোগে ( EVM Machine)এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুরভোটের সময় তখন অভিযুক্তকে নাগালে না পাওয়া গেলেও এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে। এদিকে কলকাতা পুরভোটে হয়ে যাওয়ার পর, তার ফলাফলও ইতিমধ্যে বেরিয়ে গিয়েছে। এরপরে প্রকাশ্যে এল ইভিএম মেশিনে কারচুপির ঘটনাটি। তাই ইতিমধ্যে এনিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ইভিএম মেশিনে কারচুপির অভিযোগে গৌরব দাস নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে বড়তলা থানার পুলিশ (Police)।
উল্লেখ্য, 'ইভিএম পর্যাপ্ত নয় বলে একইসঙ্গে সব পুরভোট করা যাবে না', বলে জানিয়েছিল কমিশন। সেই ইভিএম মেশিন নিয়ে প্রকাশ্যে এল কারচুপি বিতর্ক। একেই এবারের কলকাতা পুরভোট নিয়ে একাধিক ইস্যু জটিলতা তৈরি করেছিল। একদিকে যেমন মাথা চাড়া দিচ্ছিল, একইদিনে সকল পুরভোট নয় কেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বয়ং রাজ্যপাল। বিজেপির দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টকে জবাবদিহি করেছিল রাজ্য কমিশন। জানিয়েছিল, একইসঙ্গে পুরভোট হওয়ার মতো ইভিএম মজুত নেই। উত্তরে সন্তুষ্টও ছিল আদালত। তবে মোটেই সন্তুষ্ট ছিল না বিজেপি। প্রথম থেকেই তাঁরা একাধিক অভিযোগ নিয়ে সরব ছিল। একেই পুরভোটের দিনই দুপুর থেকে বিজেপির সঙ্গে বাম-কংগ্রেসও যোগ দেয় বেনিয়েমের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে। বিরোধীরা রিগিং, ছাপ্পা ভোট সহ একাধিক বেনিয়মের ইস্যুতে পুর্নির্বাচনের দাবি তোলে। এদিকে এদিন রবিবারের পর আরও দুইদিন পেরিয়ে গিয়েছে। ভোটের ফলাফলও এখন নতুন করে কিছু জানার নেই। এহেন পরিস্থিতিতে দাগ কাটল এই ইভিএম কারচুপি।
আরও পড়ুন, Firhad Hakim-Suvendu Adhikari: 'কষ্ট হত', শুভেন্দুর আক্রমণ নিয়ে জয়ের পর মুখ খুললেন ফিরহাদ
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে গৌরব দাস নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ইভিএম মেশিনে কারচুপির অভিযোগ সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে গ্রেফতার করে বড়তলা থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে একটি অভিযোগের ভিডিও জমা পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি পোলিং বুথের ইভিএম মেশিনে এই ব্যাক্তি বারবার একটি বোতাম টিপে যাচ্ছেন। এই অভিযোগটি দায়ের হতেই গৌরবকে পাকডা়ও করে পুলিশ। তবে কোন দলের হয়ে তিনি এই কাজটি করছিলেন, এনিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে ওই ব্যাক্তিকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভিডিও দেখার পর, ইভিএম মেশিনে কী কারণে তিনি বারবার ওই কাজটি করছিলেন জানতে চাওয়া হয়েছে। কীভাবেই সে ওখানে প্রবেশ করেছিল, পুরোটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনাটি ইতিমধ্যেই বড়তলা থানা লালবাজারকে জানিয়েছে।