গত রবিবারই এই রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আরও এক চিকিৎসকের লড়াই শেষ করে দিল মারণ ভাইরাস। বালিগঞ্জ বন্ডেল রোডের বাসিন্দা প্রথিতযশা অর্থোপেডিক সার্জন চিকিৎসক শিশির মন্ডলের মৃত্যু হল মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে। বেলভিউ হাসপাতালের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন তিনি।
৬৯ বছর বয়সি চিকিৎসক শিশির মণ্ডল করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১৪ এপ্রিল সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে ভর্তি হন। উচ্চ রক্তচাপ এবং ব্লাড সুগারের সমস্যা ছিল তাঁর। ১৭ ই এপ্রিল শুক্রবার আক্রান্ত চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে, তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।ভেন্টিলেশনের দিতে হয় চিকিৎসক শিশির মন্ডলকে৷ আমরি হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাণপন লড়াই জারি রাখেন৷ কিন্তু সেইসব চেষ্ট ব্যর্থ করেই সোমবার রাত ৯ টা ১৫ মিনিটে করোনা যুদ্ধে হেরে যান চিকিৎসক।
এবার তবলিগিরা দান করছেন প্লাজমা, দিল্লিতে সেরে উঠলেন ভেন্টিলেশনে যাওয়া রোগীও
যখন-তখন শীতের অনুভূতি থেকে মাথাব্যথা, জেনে নিন করোনা আক্রান্তের আরও নতুন কিছু উপসর্গ
করোনা নিয়ে আশার আলো দেখল দেশবাসী, ৩ সপ্তাহের মধ্যে ভারতে শুরু হচ্ছে ভ্যাকসিনের উৎপাদন
রাজ্যে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই একের পর এক চিকিৎসক, নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা সংক্রমনের শিকার হয়ে তলেছেন। রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত হন আলিপুর কমান্ড হাসপাতালের এক লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার চিকিৎসক। পরবর্তীতে তার স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যাও করোনা আক্রান্ত হন। এরপর হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার স্বয়ং করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। যদিও বর্তমানে তিনি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
রবিবার সল্টলেক আমরি হাসপাতালে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সহঅধিকর্তা তথা স্বাস্থ্য দফতরের সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক বিপ্লব কান্তি দাশগুপ্তর মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্ত হয়ে। আর সোমবার করোনা প্রাণ কাড়ল স্বনামধন্য অর্থোপেডিক সার্জনের। এই নিয়ে বাংলায় দ্বিতীয় চিকিৎসকের মৃত্যু হল করোনায়।
সারা বিশ্বে মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পরা করনোভাইরাসে আক্রান্তদের সেবা করতে গিয়ে সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন একের পর এক চিকিৎৎসক। ইতিমধ্যে গোটা দুনিয়ায় ২০০ বেশি চিকিৎসক মারা গিয়েছেন করোনার ছোবলে। এদেশের তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতেও চিকিৎসক মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন আরও বেশ কিছু চিকিৎসক। প্রায় ৩০ জন চিকিৎসক কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাতেও। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।