সংক্ষিপ্ত
- এতদিন করোনা সংক্রমণের লক্ষণ ছিল কাশি, সর্দি, জ্বর, গলাব্যাথা
- এর সঙ্গে ক্লান্তি , শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাগুলিও যুক্ত ছিল
- করোনা সংক্রমণের আরও কয়েকটি লক্ষণ এবার সামনে এল
- আপাত কয়েকটি সাধরণ লক্ষণও এবার করোনা রোগীদের দেহে দেখা যাচ্ছে
করোনাভাইরাস হল এমন এক সংক্রামক ভাইরাস যা এর আগে মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি। এত দিন বিজ্ঞানীরা বলে এসেছেন সংক্রমিত হওয়ার ১ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে আক্রান্তের দেহে করোনার লক্ষণগুলি দেখা দিতে শুরু করে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাশি, সর্দি, জ্বর, গলাব্যাথা, ক্লান্তি , শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাগুলি দেখা দেয়। তবে মারণ এই ভাইরাস সর্বদাই নিজেকে পাল্টে চলেছে। তাই আপাত কয়েকটি সাধরণ লক্ষণও এবার করোনা রোগীদের দেহে দেখা যাচ্ছে বলে ডানাচ্ছেন মার্তিন যুক্তরাষ্ট্রের ,সেন্টারস ফর ডিজিজি কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সিডিসি।
মাথাব্যথা, যখন-তখন শীতের অনুভূতি হওয়া, প্রবল শীত বোধ, দেহে কাঁপুনি ধরা, বিভিন্ন মাংসপেশিতে ব্যথা , স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া, গলায় দাগ এই লক্ষণগুলিও এখন দেখা যাচ্ছে করোনা আক্রান্তদের শরীরে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, মার্কিন মুলুক তো বটেই ইংল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স সহ বিশ্বের নানা প্রান্তে করোনা আক্রান্ত বিভিন্ন বয়সীদের মধ্যে নতুন এই লক্ষণগুলি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি এদেশেও এর অন্যথা হয়নি। ইতিমধ্যে দিল্লির এইমসে ভর্তি কয়েকজন রোগীর যখন করোনা পরীক্ষায় এসেছিলেন তখন তাঁদের শরীরের কাশি, সর্দি, জ্বর, গলাব্যাথা, ক্লান্তি , শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাগুলি না থাকলেও পরে পরীক্ষায় তাঁদের দেহে সংক্রমণ মেলে। তবে এইসব রোগীদের শরীরে করোনার নতুন লক্ষণগুলি দেখা গিয়েছিল।
এদেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যাদের মধ্যে অনেকের শরীরেই আগে থেকে সংক্রমণের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত দেশের চিকিৎসকরা। এই প্রসঙ্গেই এইমসের এক চিকিৎসক জানান, সেখানে ভর্তি অনেক করোনা রোগীর মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল না। তার বদলে এঁরা মাথাব্যথা, শীত বোধ করা এবং শরীরের বিভিন্ন মাংসপেশীতে ব্যথায় ভুগছিলেন।
করোনাকে জয় করে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, যোগ দিলেন কাজে
করোনা নিয়ে আশার আলো দেখল দেশবাসী, ৩ সপ্তাহের মধ্যে ভারতে শুরু হচ্ছে ভ্যাকসিনের উৎপাদন
করোনা এবার প্রাণ কাড়ল কংগ্রেস নেতার, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ছুঁতে চলল
পুরো বিষয়টি যে যথেষ্ট চিন্তার, তা মনে করছে চিকিৎসক মহল। সেই কারণেই করোনা পরীক্ষা আরও বৃহদ আকারে করানোর পক্ষপাতী চিকিৎসকরা।