ফের আর্থিক অনটনের জেরে আত্মঘাতী বেহালার এক ব্যক্তি। অভাবের তাড়নায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন বেহালার বাসিন্দা ভাস্কর রায়। খবর পেয়েই দ্রুত বেহালা থানা পুলিশ দেহটিকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপরেই হাসপাতাল থেকে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন, ফুসফুস প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত, আজই এয়ার অ্য়াম্বুলেন্সে চেন্নাই পাড়ি মুকুল পত্নীর
জানা গিয়েছে, অভাবের তাড়নায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন বেহালা বি.এল.সাহা রোডের বাসিন্দা ভাস্কর রায়। মৃত্যুকালীন বয়েস হয়েছিল ৩৮ বছর। বুধবার ভোর বেলায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি । পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে তিনি পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিলেন। লকডাউন এরপর থেকে তার কাজ চলে যায়। এবং তারপর থেকে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কয়েকদিন হল তিনি প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ এর ব্যবসায় নেমে ছিলেন। বাড়িতে স্ত্রী দুই ছেলেমেয়ে মা কোনও ভাবেই সংসার চালাতে পাচ্ছিলেন না। আর তার জেরেই তিনি এদিন সকালেই আত্মঘাতী হন এমনটাই পরিবারের লোকজনের থেকে জানা গেছে। এবং তারপর তার পরিবারের লোকজন সঙ্গে সঙ্গে বেহালা থানার পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়েই দ্রুত বেহালা থানা পুলিশ দেহটিকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপরেই হাসপাতাল থেকে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ দুইভাবেই কোভিডের বলি শহরবাসী। একদিকে সংক্রমণের জেরে মৃত্যু। অপরদিকে লাগামছাড়া সংক্রমণ রুখতে আবার কড়া বিধি-নিষেধের পথে রাজ্য সরকার। কার্যত লকডাউনের জেরে বেহাল পরিবহণ ব্যবস্থা। বন্ধ বাস-ট্রেণ। রোজগারের পথও বন্ধ হয়ে দিশেহারা মানুষ। তাই ফের ২০২০ এর ভয়াবহ দৃশ্যগুলি ফের ফিরে ফিরে আসছে। গত বছরও রাজ্যের একাধিক জেলায় রোজগার হারিয়ে মানসিক অবসাদের জেরে বহু মানুষ আত্মঘাতী হন। সেই তালিকায় নাম ছিল বেহালারও। এবারও সেই মর্মান্তিক দৃশ্যই ফিরে এল বেহালার বুকে।