চলে গেলেন অঞ্জনাদেবী, তাঁর অঙ্গেই নতুন জীবনের আলো চারজনের

  • অঙ্গ প্রতিস্থাপনে নজির গড়ল কলকাতা
  • এই শহরেই ফের গ্রিন করিডর তৈরি হল
  • একটি মৃত্য়ু প্রাণ দিল আরও চারজনকে

arka deb | Published : Jul 3, 2019 10:30 AM IST / Updated: Jul 03 2019, 11:13 PM IST

৪৯ বছর বয়সে মৃ্ত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু মরেও তিনি প্রমাণ করে দিলেন, সব মরণ নয় সমান। অঙ্গ প্রতিস্থাপনে নজির গড়ল কলকাতা।এই শহরেই ফের গ্রিন করিডর তৈরি হল।

হাওড়ার আন্দুল রোডের নারায়ণা হাসপাতাল থেকে ব্রেন ডেথ হওয়া অঞ্জনা ভৌমিকের অঙ্গ নিয়ে যাওয়া হল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ গ্রিন করিডরের মাধ্যমে প্রথমে হার্ট পাঠানো হল এসএসকেএম হাসপাতালে। এরপর কিডনি, লিভার এবং স্কিন নিয়ে যাওয়া হয় একই পদ্ধতিতে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার ব্রেন স্টোকে আক্রান্ত হন হাওড়ার উদয়নারায়াণপুরের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধূ অঞ্জনা ভৌমিক(৪৯)। স্বামী সন্তোষ ভৌমিক পেশায় কোয়াক চিকিৎসক। প্রাথমিক চিকিৎসা তিনিই করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা আরও অবনতি হলে সোমবার বিকাল তিনটে নাগাদ তাকে ভর্তি করা হয় হাওড়ার আন্দুল রোডের একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে। মঙ্গলবার বিকালে অঞ্জনার ব্রেন ডেথ হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। অঞ্জনার দেহ এবং অঙ্গদান করার সিদ্ধান্ত নেন তার পরিবার। কিন্তু তার অঙ্গ প্রতিস্থাপনযোগ্য অবস্থায় আছে কিনা সেটা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন চিকিৎসকরা। গ্রহীতার খোঁজখবরও শুরু হয় তখন থেকেই। নারায়াণা হাসপাতাল সূত্রের খবর, অস্ত্রোপচার করে অঙ্গ সংগ্রহ করেন বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসকদের একটি দল। হার্ট এবং একটি কিডনি গ্রীন করিডোর করে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। অন্য একটি কিডনি হাওড়ায় নারায়ণা হাসপাতালেই রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ দাঁতের অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে মৃত্যু গৃহবধূর, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ভবনে পরিবার
অস্ত্রপচারের পরে কেমন আছেন তনুজা! জানিয়ে দিলেন চিকিৎসকরা

প্রসঙ্গত এদিন হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন হওয়ার পরে নতুন জীবন ফিরে পেলেন নদিয়ার মৃন্ময় বিশ্বাস। প্রসঙ্গত এসএসকেএম-এ এটাই প্রথম এই অপারেশন হল। অপারেশন হওয়ার পরে রোগীর পরিবারে স্বস্তির নিশ্বাস।  তাঁদের তরফে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে অঞ্জনাদেবীর পরিবারকে। মৃন্ময় বিশ্বাস গতবছর পুজোর সময়ে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখনই জানা যায় তাঁর হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা জরুরি। অবশেষে অঞ্জনাদেবীর জন্যেই তা সম্ভব হল। অন্য দিকে রীণা শী নামক অন্য এক রোগীর লিভারও প্রতিস্থাপিত হয়েছে অঞ্জনাদেবীর পরিবারের এই মহৎ সিদ্ধান্তের কারণেই।

Share this article
click me!