সংক্ষিপ্ত

  • অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম অনির্বাণ সেনগুপ্ত
  • সল্টলেকের ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের সময় বিপত্তি
  • কোমায় চলে যান গৃহবধূ

সামান্য দাঁতের সমস্যার অস্ত্রোপচার করাতে গিয়েই মৃত্যু হল তিরিশ বছরের এক গৃহবধূর। অভিযুক্ত দন্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ দায়ের করল পরিবার। মৃতার নাম অঞ্জলী সাহা। 

অঞ্জলীদেবীর পরিবারের অভিযোগ, দাঁতের একটি সমস্যা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভুগছিলেন জগদ্দল থানার বাসিন্দা বছর তিরিশের অঞ্জলী সাহা। এপ্রিল মাসে অনির্বাণ সেনগুপ্ত নামে সল্টলেকের এক দন্ত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় অঞ্জলীদেবীর স্বামীর। কিন্তু চিকিৎসার জন্য তিনি বিপুল অর্থ দাবি করায় পিছিয়ে আসে ওই গৃহবধূর পরিবার। এর পরে মে মাস নাগাদ ফের ওই চিকিৎসকের চেম্বার থেকে অঞ্জলীদেবীর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শেষ পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকায় দু' পক্ষে রফা হয়। কথা মতোই অঞ্জলীদেবীর স্বামী সুনীলবাবু ওই চিকিৎসকের স্ত্রীর কাছে পুরো টাকাটা জমা দেন বলেই মৃতার পরিবারের দাবি। 

অভিযোগ, গত ২৮ মে অঞ্জলীদেবীর দাঁতের অস্ত্রোপচার শুরু করেন ওই চিকিৎসক। অভিযোগ রাত দশটা নাগাদ অস্ত্রোপচার শেষ হলেও অঞ্জলীদেবীর কাছে যেতে দেওয়া হয়নি তাঁর স্বামীকে। এর পরে রাত এগারোটা নাগাদ ওই চিকিৎসক জানান, অঞ্জলীদেবীর অবস্থার অবনতি হয়েছে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। সেই মতো প্রথমে স্নায়ুরোগের চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ হাসপাতাল এবং সেখান থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই গৃহবধূকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, মস্তিষ্ক রক্তক্ষরণ হয়ে অঞ্জলীদেবী কোমায় চলে গিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। 

এর পরেই অভিযুক্ত চিকিৎসক অনির্বাণ সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ দায়ের করেন অঞ্জলীদেবীর স্বামী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে। অঞ্জলীদেবীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অঞ্জলীদেবীর অ্যানাস্থেশিয়া করার সময়  সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল কি না. তাঁকে কী কী ওষুধ দেওয়া হয়েছিল. এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি।