"আপনার কাছে বিচারের আশায় আছি", আদালতে জামিনের জন্য কাতর আর্জি পার্থর

শক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে চায় সিবিআই। এই মর্মে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে চিঠিও করা হয় সিবিআই-এর তরফে। তাদের দাবি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত আসলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Ishanee Dhar | Published : Sep 16, 2022 10:22 AM IST

"আমার ভূমিকা কী?" আদালতের কাছে জামিনের জন্য ফের কাতর আবেদন জানালেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার আলিপুর আদালতে সওয়াল-জবাব পর্ব শেষে উঠে দাঁড়িয়ে পার্থ বলেন, " প্রাথমিক বোর্ড কিংবা এসএসসি স্বয়ংশাসিত দফতর। তারা প্রার্থীদের চয়ন করত। আমার ভূমিকা কী?" পাশাপাশি এদিন তিনি নিজের ও তাঁর পরিবারের  শিক্ষাগত যোগ্যতার কথাও তুলে ধরেন। বিচারকের উদ্দেশ্যে পার্থর কাতর আর্জি, "স্যার আমি খুব অসুস্থ। দিনে অনেক ওষুধ খেতে হয়। বিচারের প্রতি আস্থা রাখছি। আপনি আপনার মতো বিচার করবেন। আপনার কাছে বিচারের আশায় আছি।"

অপরদিকে, শক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে চায় সিবিআই। এই মর্মে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে চিঠিও করা হয় সিবিআই-এর তরফে। তাদের দাবি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত আসলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, এর আগেও জামিনের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থর আইনজীবীর পক্ষ থেকে এদিন আদালতের কাছে 'যে কোনও মূল্যে' জামিন মঞ্জুর করার দাবি রাখা হল। এমনকী নিজ বাসভবনে নজরবন্দি থাকতেও রাজি তিনি। তবু যে কোনও শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি চান পার্থ। প্রাক্তন মন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, পার্থর একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তার জন্য দিনে মোট ১৭টি ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। পার্থর রক্তাল্পতাজনিত সমস্যা আছে, তা ছাড়া হিমোগ্লোবিন কম, ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেশি ইত্যাদি সমস্যার পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট ও শিরদাঁড়াতেও সমস্যা আছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন পার্থর আইনজীবী। তাই তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে জামিনের আর্জি জানানো হয়েছে। 

আরও পড়ুনফের সিবিআই-এর আতশকাচের নীচে পার্থ-ঘনিষ্ট, মোনালিসা দাসের দাদা মানস দাসের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ

পার্থর তরফ থেকে এও দাবি করা হয়েছে যে তাঁর নামে তো সরাসরি কিছুই পাওয়া যায়নি। যে ফার্ম হাউজের কথা বলা হয়েছে তাও পার্থর নামে নয়। তবে তাঁর জামিনে বাধা কোথায়? এর পরই ইডির তরফে নতুন কিছু তথ্য তুলে ধরা হয় আদালতে। এদিন আদালতকে সিম্বায়োসিস নামে একটি সংস্থার কথা জানায় ইডি। এই সংস্থার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের কালো টাকাকে সাদা করা হয়েছে বলে দাবি ইডির। ২.৭ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে এই সংস্থার শেয়ার। উল্লেখ্য, সিম্বায়োসিসের ডিরেক্টর হিসেবে অর্পিতা এবং কল্যাণ ধরের নাম রয়েছে এবং এই সংস্থার বেশিরভাগ শেয়ারেও অর্পিতার নাম রয়েছে। এছাড়া ইডি আরও জানায় অপা ইউটিলিটি নামের সংস্থাটির জমি কিনতেও ভুয়ো সংস্থার নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন'বাড়িতে নজরবন্দি থাকতেও রাজি', আদালতের কাছে 'যে কোনও শর্ত সাপেক্ষে' জামিনের আবেদন পার্থর

আরও পড়ুন - 'পার্থ-অনুব্রত দলের পচে যাওয়া অংশ', জহর সরকারের মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে

Read more Articles on
Share this article
click me!