দ্বিতীয় জিএসটি নম্বরটি কীভাবে অর্পিতা পেলেন, তা নিয়ে বেশ ধন্দ্বে তদন্তকারীরা। কর বা রাজস্ব ফাঁকি দিতে GST নম্বর কারচুপি করা হয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এবার জিএসটি নম্বরে কারচুপির অভিযোগ উঠল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাঁর একাধিক নেল আর্টের পার্লারের ব্যবসার সন্ধান পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। ইডির আধিকারিকদের দাবি একটি জিএসটি নম্বরের হদিশ মিললেও আরেকটি জিএসটি নম্বরে কোনও ব্যবসার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে ওই দ্বিতীয় জিএসটি নম্বর কোন কাজে লাগানো হত। প্রশ্ন করছেন আধিকারিকরা। সেই উত্তরই এখন খুঁজেন তাঁরা।
পাশাপাশি, দ্বিতীয় জিএসটি নম্বরটি কীভাবে অর্পিতা পেলেন, তা নিয়ে বেশ ধন্দ্বে তদন্তকারীরা। কর বা রাজস্ব ফাঁকি দিতে GST নম্বর কারচুপি করা হয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অন্যদিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে বারবার টাকা তাঁর নয় বলে দাবি করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৃতীয় মন্তব্য হল 'আমার কাছে কোনও টাকা নেই। আর চতুর্থ হল ''আমার নয়'। তাও তিন বার এই একই কথা উচ্চারণ করেন তিনি।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টা অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রবিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা হয়েছিল জোকা হাসপাতালে। সেখানেই হাসপাতালে ঢোকার আগে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন তাঁর কাছে কোনও টাকা নেই। আর বেরিয়ে যাওয়ার সময় স্পষ্ট করে তিন বার বলেন আমার নয়। তবে শেষবার রীতিমত বিরক্ত হয়ে তিনি 'আমার নয়' এই দুটি শব্দ উচ্চারণ করেন।
আগামী বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে দ্বিতীয়বারের জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশের মধ্যেই দুজনরে ৪৮ ঘণ্টা অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেইমত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অধিকারিকতা তাঁদের জোকা আসপাতে নিয়ে এসেছিলেন।
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্ণীতিকাণ্ডে তদন্ত শুরু করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কলকাতা হাইকোর্টের তত্বাবধানেই হচ্ছে তদন্ত। তদন্তের জন্য ইডি গত ২১ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে হানা দেয়। সেইসময়ই পার্থর বাড়ি থেকেই অর্পিতার বাড়ির হদিশ পায়। তারপরই অর্পিতার বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় ২২ কোটি টাকা। অন্য একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২৯ কোটি টাকা। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছিল তদন্তকারীদের। টাকা গুণতে আনা হয়েছিল মেশিনও। শুধু টাকা নয়, বৈদেশিক মুদ্রা ও দামী মোবাইল ফোন, প্রচুর সোনা আর সোনার গয়নাও উদ্ধার হয়েছিল।
এদিকে, জানা গিয়েছে ৫০ কোটির পরে আরও ৮ কোটির হদিশ মিলেছে। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্রিজ করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি টাকা মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর।