এবার এফআইআরে নাম না থাকলেও পার্থকে হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। তাদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মূল হোতা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। তাই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন বলে আদালতকে জানিয়েছে সিবিআই। অপরদিকে জামিন চেয়ে ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ইডির গ্রেফতারির ৬০ দিন পর এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে হেফাজতে নিতে চান সিবিআই। আইন অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট না পেশ করতে পারলে জামিন পেতে পারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাই এবার এফআইআরে নাম না থাকলেও পার্থকে হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। তাদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মূল হোতা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। তাই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন বলে আদালতকে জানিয়েছে সিবিআই। অপরদিকে জামিন চেয়ে ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
নিজের আসুস্থতার কথা জানিয়ে পার্থ বলেন,"স্যার আমি খুব অসুস্থ। দিনে অনেক ওষুধ খেতে হয়। ইডি দু'মাস ধরে জেলে রেখেছে। আবার সিবিআই হেফাজতে নিতে চাইছে। পাশাপাশি এদিন নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বংশ পরিচয়ের কথাও তুলে ধরেন তিনি। আদালতকে পার্থ জানান, "আমি রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র, এমবিএ করেছি, পরিবারের প্রত্যেকে উচ্চ শিক্ষিত।" শুক্রবার আলিপুর আদালতে সওয়াল-জবাব পর্ব শেষে উঠে দাঁড়িয়ে পার্থ বলেন, " প্রাথমিক বোর্ড কিংবা এসএসসি স্বয়ংশাসিত দফতর। তারা প্রার্থীদের চয়ন করত। আমার ভূমিকা কী?"
আরও পড়ুন - 'পার্থ-অনুব্রত দলের পচে যাওয়া অংশ', জহর সরকারের মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে
পার্থর আইনজীবীর পক্ষ থেকে বলা হয়, 'তাঁর ৭০ বছর বয়স, অসুস্থ। দিনে ২৪টা ওষুধ খেতে হয়। সিবিআই বাড়ি গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। যে কোন শর্তে জামিন দেওয়া হোক পার্থকে।" পাশাপাশি তিনি এও বলেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম এফআইআরে নেই। CBI, ED ষড়যন্ত্র করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখতে চাইছে।"
আরও পড়ুন - ফের সিবিআই-এর আতশকাচের নীচে পার্থ-ঘনিষ্ট, মোনালিসা দাসের দাদা মানস দাসের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ
প্রসঙ্গত, এর আগেও জামিনের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থর আইনজীবীর পক্ষ থেকে এদিন আদালতের কাছে 'যে কোনও মূল্যে' জামিন মঞ্জুর করার দাবি রাখা হল। এমনকী নিজ বাসভবনে নজরবন্দি থাকতেও রাজি তিনি। তবু যে কোনও শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি চান পার্থ। প্রাক্তন মন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, পার্থর একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তার জন্য দিনে মোট ১৭টি ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। পার্থর রক্তাল্পতাজনিত সমস্যা আছে, তা ছাড়া হিমোগ্লোবিন কম, ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেশি ইত্যাদি সমস্যার পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট ও শিরদাঁড়াতেও সমস্যা আছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন পার্থর আইনজীবী। তাই তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে জামিনের আর্জি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন - 'বাড়িতে নজরবন্দি থাকতেও রাজি', আদালতের কাছে 'যে কোনও শর্ত সাপেক্ষে' জামিনের আবেদন পার্থর