পাশে দাঁড়ালেন পার্থ, রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যের পদত্যাগ গৃহীত হল না

  • বসন্ত উৎসবে বিতর্ক ঘিরে মন্তব্য় পার্থর
  •  উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর পাশে  দাঁড়ালেন শিক্ষামন্ত্রী
  •  রাজ্য় সরকার উপাচার্যের পদত্যাগপত্র  গ্রহণ করবে না
  • সরাসরি  জানিয়ে  দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় 
     

Asianet News Bangla | Published : Mar 7, 2020 10:46 AM IST / Updated: Mar 07 2020, 04:26 PM IST

বসন্ত উৎসবে বিতর্ক ঘিরে এবার উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর পাশে দাঁড়ালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য় সরকার উপাচার্যের পদত্যাগপত্র  গ্রহণ করবে না।  

বিজেপির পোস্টারে রবীন্দ্রনাথের কবিতা বিকৃতির অভিযোগ, শোরগোল রাজ্য়ে

বুধবার থেকে অচল হওয়ার পথে এগিয়েছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।  শুক্রবার রাতে উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী ইস্তফাপত্র পাঠানোর পরেই এমনই সম্ভাবনা জোরালো হয়ে উঠছে। যার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন উপাচার্যের পাশে দাঁড়ান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার নয় এটা, আপনি কাজ চালিয়ে যাবেন । আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে না। 

'চুমু খেতে মানা', করোনা সচেতনতায় নির্দেশিকা কলকাতা মেট্রোর

 বৃহস্পতিবার বিটি রোডের ধারে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্তোৎসব অনুষ্ঠানের শেষে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি ছবি। যার একটি ছবিতে ধরা পড়ে, চার শাড়ি পরিহিত তরুণীর উন্মুক্ত পিঠে আবির দিয়ে লেখা অশ্লীল শব্দ। বিতর্কিত ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের লেখা 'চাঁদ উঠেছিল গগনে' গানটির বিকৃত করে প্যারোডির একটি লাইন লেখা ছিল ওই চার তরুণীর পিঠে। 

বিয়েতে বাধা ইয়েস ব্যাঙ্ক, ঘর ছেড়ে টাকার লাইনে কনে

অপরদিকে, আরেকটি ভাইরাল ছবিতে দেখা গিয়েছে কয়েকজন তরুণ তরুণীকে। মেয়েদের খোলা পিঠে লেখা 'বসন্ত এসে গেছে' আর তাঁদের সামনে দাঁড়ানো ছেলেদের উন্মুক্ত বুকে ওই লাইনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আবির দিয়ে লেখা অশ্রাব্য গালিগালাজ। রবীন্দ্রভারতীর মতো ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের উশৃঙ্খলতা বরদাস্ত করেননি নেটিজেনরা। এরপর ছবিগুলি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্য়াল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে।  

ছাত্র ছাত্রীদের এই অশ্লীল ছবি নিয়ে পার্থবাবু বলেন, অপসংস্কৃতির শিকার হচ্ছে বাংলার ছাত্র-ছাত্রীরা। যারা এই কাজ করেছে, তারা জানে ন- তারা বাংলার সংস্কৃতি কতটা পিছিয়ে দিয়েছে । মাথা নত করে দিয়েছে বাংলার সংকৃতির । রবীন্দ্রনাথের নামে নামাঙ্কিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রকম অশ্লীল শব্দ এটা ভাবা যায় না। উপাচার্য মহোদয়কে আমি বলেছি, এটা একটা সামাজিক অবক্ষয় । এতে আপনার কোও দায় নেই। 

Share this article
click me!