সম্পর্কে ইতি টানার পরেও খোরপোশের টাকাই যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে ফেলে আসা দিনের কথা। স্বাভাবিকভাবেই তা অস্বস্থির কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে প্রাক্তন-প্রাক্তনি উভয়ের কাছেই। এ যেন শেষ হয়েও হল না শেষ। একদিকে খোরপোশ অপরদিকে তিক্ততা এই দুই-র মুশকিল আসান বেরল শেষমেষ। বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট জানাল নতুন সিদ্ধান্ত। এখন থেকে এককালীন মোটা টাকা দিলেই আর খোরপোশ দিতে হবে না প্রাক্তন স্বামীকে।
আরও পড়ুন, চিড়িয়াখানায় আরও এক হিংস্র প্রাণী, বড়দিনের আগেই তিনটি নতুন আকর্ষণ
উত্তর কলকাতার বাসিন্দা বছর ছাব্বিশের জয়িতা দাসেরও প্রতি মাসে খোরপোশ নিয়ে আপত্তি ছিল। তাই খোরপোশের বদলে প্রাক্তন স্বামীর কাছে কুড়ি লক্ষ টাকা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জয়িতা। কয়েক বছর আগেই প্রমোদকুমার দাসের সঙ্গে তাঁর প্রেমের বিয়ে হয়। কিন্তু বহু বছরের প্রেমও, বিবাহিত জীবনে ধোঁপে টেকে না। বিষাক্ত হয়ে ওঠে তাদের সম্পর্ক। বাধ্য় হয়ে ইতি টানেন তাঁরা, তাদের সম্পর্কে। কিন্তু সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পরেও যেন ওই প্রতি মাসের খোরপোশের টাকা প্রাক্তন স্বামীর কথা মনে করিয়ে দেয়। তাই সব কাগজে আর মগজে দুদিকেই ইতি টানতে জয়িতা দাস আজীবন খোরপোশ হিসাবে এককালীন কুড়ি লক্ষ টাকা নিয়ে বিচ্ছেদ চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
আরও পড়ুন, বড় দিনের পরেও থাকছে উপহার, ১৭২ বছর পর কলকাতা দেখবে রিং অব ফায়ার
বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চে নিজেই সওয়াল করেন। প্রমোদ বাবু আদালতে জানান যে, কুড়ি লক্ষ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই। অবশেষে নগৎ সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকায় সেটা গিয়ে দাড়ায়। জয়িতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে চিরতরে সম্পর্ক ছেদের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়াও খোরপোশের মাধ্য়মে সম্পর্কে ইতি টানতে হাইকোর্টে একাধিক মামলা জমা পড়েছে, একে একে এবার তারাও সমাধানের পথ চেয়ে রয়েছে।