অবশেষে নেতাজি নগরের বৃদ্ধ দম্পতি খুনের কিনারা করল পুলিশ। বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন এবং লুঠের অভিযোগে বিহারের কাটিহার থেকে গ্রেফতার করা হল মহম্মদ হামরুজ আলম ওরফে মহসিন নামে এক যুবককে। পুলিশের দাবি, হত্যা এবং লুঠের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।
গত ৩০ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নেতাজি নগরে নিজেদের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় বৃদ্ধ দম্পতি দিলীপ এবং স্বপ্না মুখোপাধ্যায়ের দেহ। দু' জনকেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে সন্দেহ করে পুলিশ। ঘরের আলমারি ভেঙে বেশ কিছু টাকা এবং গয়নাও লুঠ হয়।
আরও পড়ুন- বাড়িতেই খুন নিঃসন্তান বৃদ্ধ দম্পতি, খুনের পিছনে কি প্রোমোটিং চক্র
আরও পড়ুন- প্রবীণ নাগরিকদের বাড়ির সামনে সিসিটিভি! নিরাপত্তার খাতিরে নিউআলিপুর থানার বড় উদ্যোগ
প্রথমে এই ঘটনার পিছনে প্রোমোটিং চক্রের দিকে সন্দেহের তির গেলেও অন্যান্য সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখতে থাকেন তদন্তকারীরা। ওই দম্পতির বাড়িতে সম্প্রতি কারা কাজ করেছেন, সেই তালিকাও তৈরি করা হয়। সেই সূত্রেই খোঁজ মেলে অভিযুক্ত মহসিনের।
পুলিশ জানিয়েছে, আটত্রিশ বছরের ওই যুবক বিহারের বারসোইয়ের বাসিন্দা। কিছুদিন আগে ওই দম্পতির বাড়িতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছিল সে। তখনই বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে লুঠের ছক কষে অভিযুক্ত। সেই মতোই গত ২৯ জুলাই রাতে দম্পতির বাড়িতে হানা দেয় মহসিন। যদিও তার সঙ্গে অন্য কেউ ছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দিলীপবাবু এবং স্বপ্নাদেবীকে খুন করে বাড়িতে লুঠপাট চালানোর পরে বিহারের কাটিহারে গা ঢাকা দিয়েছিল মহসিন। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত খুন এবং লুঠের কথা স্বীকারও করেছে বলে দাবি পুলিশের। তার কাছে বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ি থেকে খোয়া যাওয়া বেশ কিছু সামগ্রী এবং নগদও উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধৃতকে কাটিহারের স্থানীয় আদালতে পেশ করবে পুলিশ। তার পর তাকে ট্রানজি রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। শুধুই লুঠের উদ্দেশ্যে এই খুন নাকি পিছনে অন্য রহস্য রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।