বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচিতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি নেতাদের।
বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচিতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি নেতাদের। অভিযোগ, কর্মসূচি শুরুর আগেই তৎপর হয়ে পড়ে পুলিশ। তখনই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের হাতাহাতি শুরু হয়। এরপর আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ, শীলভদ্র দত্তদের।
গত আটদিন ধরে রাজ্য জুড়ে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। আজই এর শেষদিন। আজ কলকাতা সহ জেলায় জেলায় অবস্থান বিক্ষোভ, ধরনার আয়োজন করেছে বিজেপি। সেই মতো কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন বিজেপি নেতারা। কলকাতায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতেও তৈরি হয় ধরণা মঞ্চ। সেখানে উপস্থিত হন সৌমিত্র খাঁ ও শীলভদ্ররা। অভিযোগ, কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই তৎপর হয় পুলিশ। করোনাবিধি মেনে সেখানে কোনও বিক্ষোভ দেখানো যাবে না বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়। এরপর অবস্থান বিক্ষোভ ছেড়ে যাবেন না বলে জানান বিজেপি নেতারা। তখনই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি।
আরও পড়ুন- গ্রেফতার দিলীপ-শুভেন্দু-দেবশ্রী সহ ১৫০ কার্যকর্তা, BJP-র কর্মসূচির ঘিরে উত্তাল মেয়ো রোড
বিশৃঙ্খলতা ছড়ানোর অভিযোগে আটক করা হয় সৌমিত্র খাঁ, শীলভদ্র সহ একাধিক বিজেপি নেতা ও কর্মীদের। ঘটনার পর উত্তেজনা থাকায় এলাকার নিরাপত্তা বাড়াতে আরও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- কংগ্রেস ছাড়ার পর অভিষেকের অফিসে সুস্মিতা দেব, যোগ দিলেন তৃণমূলে
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। আর বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক পরে রাজ্যের ছবিটা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি নিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন, 'ত্রিপুরায় ওদের আগেই খেলা শুরু', 'খেলা হবে দিবস'-এ চুটিয়ে ফুটবল খেললেন দিলীপ ঘোষ
আজ এই কর্মসূচি পালনের বিষয়টি রবিবারই ঠিক করা হয়েছিল। সেই মতো কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিজেপি নেতা-কর্মীরা রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে গেলেই তাঁদের পুলিশ আটক করে বলে অভিযোগ। তখনও দিলীপ ঘোষরা ওই এলাকায় পৌঁছাননি। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে কর্মীদের আটক করার কথা জানতে পেরেই ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত নেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। যদিও কিছুক্ষণ পর সেখানেও পৌঁছায় পুলিশ। অবস্থান বিক্ষোভ থেকে তাঁদেরও তুলে নিয়ে গিয়ে আটক করা হয়।