বড়বাজার থেকে উদ্ধার সাড়ে ৬ কোটির চোরাই সোনা, গ্রেফতার ২

Published : Jan 26, 2020, 10:58 AM IST
বড়বাজার থেকে উদ্ধার  সাড়ে ৬ কোটির চোরাই সোনা, গ্রেফতার ২

সংক্ষিপ্ত

বড়বাজারে ১০ কেজি চোরাই সোনা  বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ   সূত্রের খবর, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৬ কোটি   বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে এই সোনা কলকাতায় আনা হয়    চোরাপথে আসা সোনা এখানে মজুত করে পরে গলানো হয়  

বড়বাজারে তিনটি জায়গায় হানা দিয়ে ১০ কেজি চোরাই সোনা বাজেয়াপ্ত করল ডিআরআই অর্থাৎ ডিরেক্টর অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স। সূত্রের খবর, যার মূল্য প্রায় সাড়ে ৬ কোটি। বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে এই সোনা কলকাতায় আনা হয়েছিল। যে সমস্ত জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে, সেখানে বিদেশ থেকে অবৈধভাবে আসা সোনা গলিয়ে ফেলার কাজ চলত দিনের পর দিন। এই ঘটনায়, চক্রের মূল পাণ্ডা অনুরাগ জালান ও তাঁর এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, Live Republic Day- ৭১ তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালনে দেশ, মোদী-মমতাদের শুভেচ্ছা বার্তা

বহুদিন ধরেই দুবাই বা চীন থেকে চোরাপথে বেআইনি সোনা  কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। কখনও বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে, কখনও মায়ানমার হয়ে তা ভারতে আসে। মূলত তা কলকাতায় ঢোকে,  সীমান্তের ওপার থেকে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকা দিয়ে। অপরদিকে, মায়ানমার থেকে চোরাপথে আসা সোনা শিলিগুড়ি হয়ে কলকাতায় ঢুকছে। বড়বাজারের একাধিক জায়গায় মজুতভাণ্ডার গড়ে তুলেছে  সোনা পাচারকারীরা। এভাবে সোনার আমদানি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে ডিআরআই। 

আরও পড়ুন, প্রজাতন্ত্র দিবসে জাঁকিয়ে শীত কলকাতায়, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা

তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে , সোনা পাচারকারীরা ঘনঘন তাদের কৌশল বদলে ফেলছে। কলকাতায় চোরাই সোনা নিয়ে আসার পরই দ্রুত সেটা গলিয়ে ফেলা হচ্ছে। যাতে সেটা কোন দেশের সনাক্ত না করা যায়। সোনা গলিয়ে তৈরি হয় কয়েন এবং পৌছে যাচ্ছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের একাংশের কাছে। এই ঘটনার সূত্র খুঁজতে গিয়ে ডিআরআইয়ের অফিসাররা জানতে পেরেছেন, বড়বাজারে এই চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে অনুরাগ জালান নামে এক ব্যক্তি। বড়বাজারে তাঁর সোনার দোকান রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে আসা সোনা এখানে মজুত করে পরে গলানো হয়। 

আরও পড়ন, 'চিনতেই পারিনি, খুব কষ্ট হচ্ছে', ওমর আবদুল্লার ছবি দেখে টুইট মুখ্যমন্ত্রীর

সূত্রের খবর, পুলিশ জানতে পারে বড়বাজারের মনোহর দাস স্ট্রিট, নলিনী শেঠ রোড ও চেতন শেঠ রোডের গুদামে প্রচুর পরিমাণ চোরাই সোনা রাখা রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ডিআরআইয়ের একটি টিম নলিনী শেঠ রোডে একটি সোনার দোকানে হানা দেয়। সেখান থেকে ২০ পিস সোনার কয়েন উদ্ধার হয়। সঙ্গে মেলে রুপোর বিভিন্ন সামগ্রী ও নগদ ২০ লক্ষ টাকা। উল্ল্য়েখ্য় গত বছর , অক্টোবর মাসেও ডিআরআই কলকাতা থেকে তিন কেজি চোরাই সোনা উদ্ধার করে। 

PREV
click me!

Recommended Stories

বিধানসভায় প্রবেশ ইস্যুতে উত্তপ্ত শুভেন্দু বনাম রাজ্যের সঙ্ঘাত, মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে
News Round Up: বঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা থেকে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন অজি পেশার, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে