ভরদুপুর বেলা পার্কসার্কাসে চলল গুলি। পুলিশ কর্মীর এলোমেলো গুলির ঘায়ে জখম হয়েছে এক পথচারী মৃত্যু হয় অন্যজনের।
ভরদুপুর বেলা পার্কসার্কাসে চলল গুলি। পুলিশ কর্মীর এলোমেলো গুলির ঘায়ে জখম হয়েছে এক পথচারী মৃত্যু হয় অন্যজনের। কিছুক্ষণ পরে আত্মহত্যা করে পুলিশ কর্মী চোডুপ লেপচা। কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর পঞ্চম ব্যাটালিয়নের কর্মী ছিলেন তিনি। বাড়ি কালিম্পংএ। কর্মরত ছিলেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের আইটপোস্টে। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে এই হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে পার্ক সার্কাস এলাকায়। পুলিশ কর্মী আচমকাই আউটপোস্ট থেকে বেরিয়ে আসে। তারপর সোজা হাঁটতে থাকে। কাঁধে ঝোলানো ছিল স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। কড়েয়া থানা এলাকায় লোয়ার রেঞ্জ রোড দিয়ে হাঁটতে শুরু করে সে। তারপর আচমকাই হাতে তুলে নেয় স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। তারপর এলেপাথাড়ী গুলি চালাতে শুরু করে। একসময় একটি অ্যাপ বাইক এসে পড়ায় গুলি লাগে বাইকের চালক ও আরোহীর গায়ে। বাইকের আরোহী মহিলার মাথা এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ কর্মী চোডুপে রাইফেল থেকে নিজের গলায় গুলি চালিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।
কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার প্রবীন ত্রিপাঠী জানিয়েছেন চোডুপ লেপচা সম্ভবত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই কারণেই তিনি এলোপাথাড়ী গুলি চালিয়েছেন। আর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে এই ঘটনা তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর।
এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রথমে ওই পুলিশ কর্মী ইনসাস হাতে ঘোরাফেরা করে। তারপর একটি বাড়ির নিচে গিয়ে চিৎকরা করে। তারপরই লোয়ার রেঞ্জ রোডের মুখে এসে আচমকাই নিজের এনসাস বন্দুক গিয়ে এলোমেলো গুলি চালাতে থাকে। সেই সময়ই দুই বাইক আরোহী এসে পড়ায় তারা গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই মহিলার মৃত্যু হয়। তারপরই স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকা ছেড়ে ছুটে পালাতে শুরু করেন। সেই সময়ও তারা পরপর গুলির আওয়াজ পেয়েছিলেন। তারপরই পুলিশ কর্মী নিজেকে লক্ষ্য় করে গুলি করে আত্মহত্যা করে। স্থানীয়দের কথায় পুলিশ কর্মী প্রায় ১৫-১৬ রাউন্ডড গুলি চালিয়েছিল। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গুলিতে। কাচ ভেঙে গেছে অনেক বাড়ির জানলা ও গাড়ির জানলার।