ঘূর্ণিঝড় আমফান এক করলেও, মুখ্য়মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর করোনা বিবাদ এখনও জারি সামাজিক দূরত্ব রেখেই। রাজ্য়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পর্যবেক্ষণে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী। আর রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে আকাশ পথে করেছিলেন সফর। বিরল মুহূর্তের সেই ছবিতে আরও একবার উঠে এল রাজনৈতিক দূরত্ব।
আরও পড়ুন, রাজ্য়ে এক দিনে ২৯ জনের শরীরে করোনার জীবাণু, আক্রান্তদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় আমফানে বিধ্বস্ত সমীক্ষা করতে পশ্চিমবঙ্গ পৌঁছেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানের প্রধানমন্ত্রীর উইন্ডো সিট থেকে বিমানের চিত্র ইতিমধ্য়েই ভাইরাল। আর সেই ছবি থেকেই দেখা যাচ্ছে মুখ্য়মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী একে অপরের উল্টো দিকে উইন্ডো সিটে বসে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা আকাশ পথে পরিদর্শন করছেন। বাংলার বিপুল এলাকা যে রীতিমত আমফানের তাণ্ডবে ব্য়পক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, যার দরুণ অর্থ সাহায্য়ও করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
আরও পড়ুন, ইলিশের মরশুমে ক্ষতির আশঙ্কায় মৎস্যজীবীরা, আমফানের জেরে জলের নীচে অসংখ্য় নৌকা-ট্রলার
অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী সঙ্গে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে ছিলেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর এবং রাজ্য়ের শীর্ষ নেতৃত্বরাও। করোনাভাইরাসে আগেই জেরবার রাজ্য়। তার উপর নতুন করে আমফানের থাবায় কার্যত বিধ্বস্ত বাংলা। উল্লেখ্য় সম্প্রতি রেশন দুর্ণীতি থেকে শুরু করে করোনা চিকিৎসায় পরিকাঠামো এবং সামগ্রিক দিক পর্যবেক্ষণ করতে কেন্দ্রীয় দলের রাজ্য়ে আসা, বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন ভাড়া- প্রায় সব কিছুতেই বিবাদ জারি ছিল। তার উপর মুখ্য়মন্ত্রীর উদ্দেশ্য় রাজ্য়পালের একের পর এক টুইটে তোপ। তাই ঘূর্ণিঝড় আমফান অনেকটা এক করলেও রাজনৈতিক দূরত্বই আরও একবার ফিরে এল মোদি-মমতার বঙ্গের আকাশ সফরে।
আরও পড়ুন, ঘূর্ণীঝড় আমফানের থাবা শহরের ৩০০টি রেশন ঘরে, ক্ষতিগ্রস্থ ৯০ কোটির খাদ্য়সামগ্রী