'মীরজাফরের স্থান নেই তৃণমূলে' বিধাননগর পৌরনিগমের দেয়ালে ওয়ার্ড কোর্ডিনেটর দেবাশীষ জানার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের পোস্টারকে ঘিরে চাঞ্চল্য। তবে যে শুধু বিধাননগরই নয়, বারাসাত জেলা পরিষদ এলাকা জুড়ে বাবু মাস্টার ও রতন ঘোষকে 'মীরজাফর' উল্লেখ করেও 'তৃণমূলে কোন স্থান নেই' বলে পোস্টার পড়েছে।
আরও পড়ুন, 'দলত্যাগ আইন শুধু রাজ্যেই নয়-লোকসভার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য', শুভেন্দুকে নিশানা কাকলীর
বিধান নগর পুরো নিগমের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কডিনেটর ও শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ দেবাশীষ জানার বিরুদ্ধে পোস্টার পরল বিধাননগর পৌরনিগমের দেয়ালে অভিযোগ মীরজাফরদের তৃণমূল কংগ্রেসের স্থান নেই বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে বিধান নগর পৌর নিগমের দেয়ালে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে বিগত ১০ বছর বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়র পরিষদ থাকাকালীন কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন তিনি এবং জঞ্জাল বিভাগের গাড়ি কেনার নাম করে ১৮ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ করেছেন তিনি এই বিষয়টাকে উল্লেখ করা হয়েছে পোস্টারে যদিও পোস্টার বিতর্ক নিয়ে দেবাশীষ জানা জানান পুরোটাই মিথ্যাচার এবং প্রমাণসাপেক্ষ যারা এই দাবি করছেন তারা বিগত ১০ বছর কি ঘুমাচ্ছিলে বলে জানালেন বিধান নগর পুরো নিগমের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কডিনেটর দেবাশীষ জানা।
অপরদিকে, বারাসাত জেলা পরিষদ এলাকা জুড়ে বাবু মাস্টার ও রতন ঘোষকে 'মীরজাফর' উল্লেখ করে 'তৃণমূলে কোন স্থান নেই' বলে পোস্টার পড়েছে। মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলের জল্পনা তুঙ্গে। প্রসঙ্গত বিধানসভা ভোটের আগে জেলার তৃণমূলের দুই নেতা ফিরোজ কামাল গাজী ওরফে বাবু মাস্টার এবং রতন ঘোষ বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। এবার এদের তৃণমূলে কোন স্থান নেই বলে পোস্টার পড়লো জেলা পরিষদ এলাকাজুড়ে । রবিবার সকালে সকালে এমনই চিত্র ধরা পড়ল বারাসাত জেলা পরিষদের বাইরে বিভিন্ন দেওয়ালে।
আরও পড়ুন, কমছে কোভিড, লকডাউন নিয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত জানাতে পারে নবান্ন, কী কী ছাড় দিতে পারেন মমতা
সেখানে লেখা ফিরোজ কামাল গাজী ওরফে বাবু মাস্টার অস্ত্র আমদানি করতো বাংলাদেশ থেকে । ভারতে ও বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি করতো সেই অস্ত্র। বর্তমানে এরা ত্রিপল ও চাল চোর শুভেন্দুর চেলা। ইটভাটা ভেরি ডাকাতি চুরি এসব মিলিয়ে ওনার নামে ৮২ টি মামলা আছে পোস্টারে এমনটি লেখা। পাশাপাশি রতন ঘোষ তোলাবাজ গরুর টাকা নিত বিএসএফ ও বিডিআর-র থেকে, এমনকি দীনবন্ধু মিত্র ও সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে ৫ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে, বর্তমানে চাল চোর ও ত্রিপল চোর শুভেন্দুর চেলা । এদের তৃণমূলে কোন স্থান নেই। বাবু মাস্টার ও রতন ঘোষ শুভেন্দুর চেলা বলে এই দু'জন লেখা পোস্টার পড়লো। এভাবে জেলা পরিষদের দেওয়ালে কে বা কারা মেরেছে তা এখনও অজানা। তবে এলাকার তৃণমূল কর্মী কর্মী বৃন্দ বলেই দাবি রয়েছে পোস্টারে।