গুরুতর অসুস্থ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউ-তে সোমেন মিত্র

  • জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি সোমেন মিত্র
  • তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে
  • যদিও প্রথম করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে
  •  প্রয়োজনে আবার কোভিড টেস্ট করা হবে তাঁর

Asianet News Bangla | Published : Jul 21, 2020 10:41 AM IST / Updated: Jul 21 2020, 04:15 PM IST

 জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে মধ্য কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি প্রদেশ কংগ্রেস  সভাপতি সোমেন মিত্র। শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সোমবার রাতে তাঁকে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে সোমেন মিত্রর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে খবর পাওয়া গিয়েছে তাঁর পরিবার সূত্রে।

দীর্ঘদিন ধরেই হার্টের সমস্যায় ভুগছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। সাধারণত দিল্লি এইমসে  চিকিৎসা করানো হয় তাঁর। সূত্রের খবর, গত শুক্রবার হঠাত নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেওয়ায়  তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি  করা হয়। সঙ্গে সামান্য জ্বরও ছিল। পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার রাতে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় সোমেনবাবুকে। 

আরও পড়ুন: প্রকৃতির রোষানলে এবার দেবভূমি, বজ্রপাতে লণ্ডভণ্ড হরিদ্বারের হর কি পৌরি

হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এদিন  সকালেও তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। ঝুঁকি পুরোপুরি কাটেনি বলেই আইসিইউতেই রাখা হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে।

হাসপাতালের সিইও জানিয়েছেন, "সোমেন মিত্রের শ্বাসকষ্ট এবং শরীরে আরও বেশকিছু সমস্যা আছে । তাই ওনাকে এসিইউ থেকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেখানেই তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে । তাঁর কোভিড টেস্ট হয়েছে । প্রথম রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । প্রয়োজনে আবার কোভিড টেস্ট করা হবে। আপাতত অবস্থা স্থিতিশীল।"

সোমেন মিত্রের ছেলে রোহন মিত্র জানান, “বাবার ক্রিয়েটিনিন লেভেল একটু বেশি। বেশকিছু দিন শরীর চর্চাও বন্ধ, খাবারের অনিয়ম হয়েছে। শরীর তাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমরা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।"

আরও পড়ুন: মহামারীর বিশ্বে মাত্র ১ হাজার জনকে হজের অনুমতি দিল সৌদি, শুরু হচ্ছে ২৯ জুলাই

সোমেন মিত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনে একরকম অস্থির হয়ে উঠেছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। তাঁকে বারবার করে ঘরের বাইরে বেরোতে বারণ করা হলেও মাঝে মাঝেই কথাই শুনতে চাইতেন না তিনি। আজীবন রাস্তায় রাজনীতি করা সোমেন মিত্রের পক্ষে গৃহবন্দি হয়ে থাকা এক প্রকার অসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল।  এছাড়াও সোমেনবাবু  খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু অনিয়ম করতেন বলে জানা যাচ্ছে।

Share this article
click me!