দুর্গা পুজোয় কমিটিগুলিকে রাজ্য় সরকারের টাকা বিলোনো নিয়ে মুখ খুলল বিজেপি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুরোটাই নির্বাচনকে মাথায় রেখে পুজো নিয়ে রাজনীতি করছেন। এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিংহা।
রাজ্য়ে একদিনে ৬২ জনের মৃত্যু, সংক্রমিত ৩,১৯৬.
মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন- যারা মানুষের সর্বনাশ করছে, প্রলোভন দেখিয়ে এই বিনাশকে আটকানো যাবে না। এখন দুর্গাপুজোয় অর্থ দিয়ে বিনাশকালকে আটাকানোর চেষ্টা করছে এই সরকার। সরকারের আজকে এই রূপ নকল রূপ। মানুষ জানে নির্বাচন চলে গেলে এই সরকার নিজ মূর্তি প্রকাশ করবে। তাই এই সব চেষ্টা সরকারের বৃথা যাবে।
৩০ মিনিট বাড়ছে শেষ মেট্রোর সময়,নয়া ভাবনা কর্তৃপক্ষের
'পুজো নিয়ে সরকার একগুচ্ছ বক্তব্য প্রকাশ করেছেন। অতীতের অজস্র অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী বড় বড় ঘোষণা করলেও কার্যক্ষেত্রে তা পালন করেন না। সকল বিধিনিষেধ মেনেই নিষ্ঠাভরে দুর্গা পূজা অবশ্যই হবে। কিন্তু সেই পুজো যেন করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সেটা রাজ্য সরকারকে দেখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। তারই পাল্টা জবাব দিয়ে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিটি কাজের পিছনে বিজেপির ভয় কাজ করছে। বিজেপি ভীতি কাজ করছে। অন্তর থেকে মুখ্যমন্ত্রী পুজো করতে টাকা দিচ্ছেন না। বিজেপি নামক যুজুর ভয়ে মুখ্যমন্ত্রী কাটা হয়ে আছেন। আর সেই কারণেই এত প্রতিশ্রুতি, এত কথার ফুলঝুড়ি মুখ্যমন্ত্রী শোনালেন। মুখ্যমন্ত্রীর আজকের বক্তব্যে প্রতিটি পদে পদে বিজেপি ভীতি কাজ করেছে।তাই এই ভালো ঘোষণা যদি পালন করেন তার পুরো কৃতিত্ব বিজেপির-মুখ্যমন্ত্রীর নয়।"
ভোটে লড়তে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা থেকে কাটমানি খাবেন মমতা,'দিদিকে হুল বাবুলের'.
ডিএ নিয়ে রাজ্যকে চাপ দিচ্ছে স্যাট। সেই বিষয়েও এদিন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য । রাহুল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ডিএ নিয়ে ঘোষণা করেছেন কিন্তু তা বাস্তবে প্রতিফলিত হয়নি। যে মুখ্যমন্ত্রীর কথারই কোনও বিশ্বাস নেই, মুখ্যমন্ত্রীর কথার ওপরই মানুষের কোনও ভরসা নেই, সেই মুখ্যমন্ত্রীর বড় বড় কথার বা মিটিংয়ের কোনও মানে নেই। ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যেটা হল সেটা 'আইওয়াস' ছাড়া অন্য কিছু না।