বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ রায় দিয়েছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। এই জয় নৈতিক জয়। এক প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে এই ভাষাতেই নিজেদের স্বস্তি প্রকাশ করল বাংলা নাগরিক মঞ্চ। প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে তাঁরা গত ৪ মাস প্রচার করে ফ্যাসিস্ট বিজেপিকে ভোট না দেবার বক্তব্য রেখেছেন। তাঁরা তাই সন্তুষ্ট যে বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখান করেছেন।
রবিবার ফল ঘোষণার দিন একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে নাগরিক মঞ্চ। সেখানে আরও বলা হয়, অন্যান্য নানা শক্তি এই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাস্ত করার জন্য যে প্রয়াস নিয়েছেন তাদেরকেও মঞ্চ ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছে। গোটা দেশে আরএসএস- বিজেপি যে ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন শুরু করেছিল সেটা বাংলার ভোটে শোচনীয়ভাবে হেরে দারুন ধাক্কা খাবে।
গতি পাবে কৃষক সহ বিভিন্ন ধরনের গণ আন্দোলন।
মঞ্চের স্পষ্ট বক্তব্য, ভোটে হারা মানেই ফ্যাসিস্ট শক্তির চূড়ান্ত পরাজয় নয়। ফ্যাসিস্ট শক্তির প্রতিটি হামলার বিরুদ্ধে তাঁরা পথে থাকবেন। পশ্চাদপদ, নেতিবাচক, বিভাজনকারী মতাদর্শ যাতে বাংলার ইতিবাচক ঐতিহ্য, বহুস্বরের সহ-সমাবেশ, সৃষ্টিশীল সামাজিকতা, আপোষহীনতা, হার-না-মানা সংগ্রামের আদর্শ,কে প্রভাবিত না করতে পারে, তার জন্য লড়ে যাবে এই নাগরিক মঞ্চ।
এদিন প্রেস বিবৃতিতে সই করেন কুশল দেবনাথ,সুজাত ভদ্র,কস্তুরী বসুরা। তাঁদের দাবি বাংলার সংগ্রামী মানুষদের অভিনন্দন। অচেনা অজানা বহু মানুষ নিজেদের মতো করে এই মঞ্চকে যেভাবে নানা বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তা অবিশ্বাস্য। সকলেই ফ্যাসিস্টদের প্রতিরোধ করার লড়াই-এ সমান অংশীদার।
পাশাপাশি যে মানুষরা ফ্যাসিস্ট শক্তিকে ভোট দিয়েছেন তাদের বিজেপির প্রভাব মুক্ত করার কাজ চলবে। এছাড়া একথাও স্পষ্ট করে জানানো যায় যে, বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াইতে তাদের পাশে দাঁড়াবে নাগরিক মঞ্চ। আগামী সরকার যাতে করোনা-কালীন স্বাস্থ্যসঙ্কটে পশ্চিমবঙ্গবাসীর মানুষের পাশে থাকে, সেই দাবিও মঞ্চ রাখে৷
এদিকে, রবিবার ফলপ্রকাশ শেষ। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, সেই রায় দিয়ে দিয়েছে বাংলার মানুষ।অবেশেষে এসেছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। এদিন ভাগ্য নির্ধারণ হল বাংলার সব হেভিওয়েট প্রার্থীর। তবে গেরুয়া ঝড়ের যে আশা করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা, সেই আশায় কার্যত জল ঢেলেছে তৃণমূল।