২১ এপ্রিল করোনার টিকা নিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সে সময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে ফিরেছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। ফলে এতদিন ধরে ওই দফতরের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছিল। আর সেই কারণেই এবার ক্রেতা সুরক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হল মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। পঞ্চায়েত দফতরের পাশাপাশি এই দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে। আপাতত সাধন পাণ্ডে দফতরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন এপ্রিল মাসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সাধন পাণ্ডে। ২১ এপ্রিল করোনার টিকা নিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সে সময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে ফিরেছিলেন। সে সময় তাঁকে বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, তারপর তিন মাসও কাটেনি। ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কাশির পাশাপাশি তাঁর ফুসফুসে গভীর সংক্রমণ রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও আপাতত তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন- ৪দিন ধরে অভুক্ত, অভাবের তাড়নায় সন্তানকে দান করার সিদ্ধান্ত বাবা-মায়ের
এর ফলে আটকে রয়েছে তাঁর দফতরের কাজ। আর সেই কারণেই তাঁর দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। তবে এখন দফতরবিহীন মন্ত্রী হিসেবেই থাকবেন সাধন পাণ্ডে।
আরও পড়ুন- জন্মাষ্টমীতে ভিড় এড়াতে পদক্ষেপ, ফের বন্ধ হচ্ছে বেলুড় মঠ
আরও পড়ুন- ভাসানের ভিড় এড়াতে বন্দুক তুলেছিলাম, তৃণমূল সভাধিপতির আজব যুক্তিতেও কাটছে না বিতর্ক
এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সাধন পাণ্ডের স্ত্রী। সেই সময় নিজেই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মন্ত্রী। এমনকী, নিয়ম মেনে করোনা পরীক্ষাও পরিয়েছিলেন। তখন তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু, টিকা নেওয়ার পরই তাঁর শারীরিক অবনতি হতে শুরু করে। এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন তিনি।