থানায় জেরা চলাকালীন এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সিঁথি। মৃত-র পরিবার এবং এলাকার বাসিন্দারা সন্ধে থেকে পুলিশের শাস্তি চেয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। এদিকে রাতে তার মধ্যে রাজনীতির রং লাগে। এই ঘটনায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল এবং বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন, ৪ ডিগ্রি নামল সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ, বুধবার পর্যন্ত শহরে চলবে শীতের আমেজ
সূত্রের খবর, চুরির ঘটনার তদন্ত করতে চিৎপুরের এক ব্যবসায়ীকে ডেকে পাঠিয়েছিল উত্তর কলকাতার সিঁথি থানার পুলিশ। থানার ভিতরে জেরা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রৌঢ় ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউ। অচেতন অবস্থায় তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আর এরপরেই সিঁথি থানায় ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যু এবং পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগকে ঘিরে গত সোমবার রাতে উত্তাল হয়ে ওঠে সিঁথি এলাকা। মৃত ব্যক্তি তাদের সমর্থক বলে দাবি করে ভিড় জমান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। অপরদিকে, পাল্টা লোক আনে তৃণমূলও। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই দু পক্ষ খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। মৃত রাজকুমার সাউ পাইকপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর বয়স হয়েছিল তেপান্ন বছর। বাড়ির পাশেই রাজকুমার বাবুর কাগজ ও লোহার ছাঁটের দোকান।
আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় সতর্ক প্রশাসন, শহর থেকে বন্ধ হংকং ও চিনের সমস্ত উড়ান
পুলিশি সূত্রে খবর, পাইকপাড়া এলাকায় একটি আবাসন থেকে কল ও কলের পাইপ চুরির অভিযোগ ঘিরেই ঘটনার সূত্রপাত। ওই মহিলা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে, তিনি গোটা পাঁচেক পেতলের কল চুরি করেছেন।আরও জানান যে, তিনি ওই কলগুলি বিক্রি করেছেন রাজকুমার সাউ নামে চিৎপুরের এক ব্যবসায়ীকে, যিনি পুরনো জিনিসপত্র কেনেন। এরপরেই থানায় ডেকে পাঠানো হয় রাজকুমার সাউ নামের ওই ব্য়বসায়ীকে। তাঁর ছেলেদের অভিযোগ, জেরা চলার সময় তাঁর বাবাকে মারধর করা হয়। ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে, তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অবশ্য় লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই ব্যবসায়ীর উপর অত্যাচার করা হয়নি। গ্রেফতার করা হয়নি তাঁকে, শুধুই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। থানার মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী। উল্লেখ্য়, এর আগেও অন্য একটি ঘটনায় সিঁথি থানায় জেরা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছিল এক প্রৌঢ়ের। সেবার, অভিযুক্ত ছিলেন এক মহিলা এসআই। পরপর একই থানায় একই ধরনের ঘটনার পর পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।