পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেপি রায় রোডের বাড়িতে স্ত্রী অরুণা দে ও ছেলে কৌশিক দের সঙ্গে থাকতেন সংগ্রাম দে (৭০)। তিনি সল্টলেকের ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের কর্মী ছিলেন। স্ত্রী অরুণা (৬৫) অবশ্য হাঁটাচলা করতে পারতেন না।
রবিনসন স্ট্রিটে (Robinson Street) ৬ মাস ধরে দিদি (Sister) ও দুই কুকুরের (Pet Dog) মৃত দেহ আগলে রেখেছিলেন ভাই (Brother)। সেই মৃতদেহের (Dead Body) সঙ্গেই একই বাড়িতে দিনের পর দিন বসবাস করেছিলেন তিনি। ৬ মাস পর ওই দেহগুলি পুলিশের তরফে উদ্ধার করা হয়েছিল। এই ঘটনায় শিউরে উঠেছিলেন রাজ্যবাসী। আর এবার সেই ঘটনার ছায়া দেখা গেল গড়ফা থানার (Garfa Police Station) গাঙ্গুলি পুকুর এলাকার প্রিন্ম আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টরে। তিন মাস (3 Months) ধরে বাবার মৃতদেহ (Father's body) আগলে রেখেছিলেন ছেলে (Son)। অনেকদিন আগেই দেহে পচন ধরতে শুরু করে দিয়েছিল। আজ প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের তরফে মৃতের স্ত্রী ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেপি রায় রোডের বাড়িতে স্ত্রী অরুণা দে ও ছেলে কৌশিক দের সঙ্গে থাকতেন সংগ্রাম দে (৭০)। তিনি সল্টলেকের ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের (Bhabha Atomic Research Center) কর্মী ছিলেন। স্ত্রী অরুণা অবশ্য হাঁটাচলা করতে পারতেন না। বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা তাঁর নেই। ফলে স্বামীর মৃত্যুর খবর কাউকে দিতে পারেননি তিনি। এদিকে ছেলে আবার মানসিকভাবে সুস্থ নন। পুলিশের কাছে কৌশিক জানান, মাস তিনেক আগে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু, বাবার দেহের সৎকার না করে তিন মাস ধরে দেহ আগলে রেখেছিলেন তিনি। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে বাবা আবার বেঁচে উঠবেন।
আরও পড়ুন- 'সিবিআই ছাড়া উপায় নেই', গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় বলল হাইকোর্ট
এদিকে কয়েকদিন ধরেই এলাকায় দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু, দুর্গন্ধ কোথা থেকে আসছিল তাঁরা বুঝতে পারছিলেন না। তারপর গড়ফার ওই বাড়িতে গিয়ে কৌশিককে জিজ্ঞাসা করেন তাঁরা। তারপরই জানতে পারেন যে তিন মাস আগে সংগ্রাম দের মৃত্যু হয়। আর এতদিন ধরে সেই মৃতদেহ আগলে ছিলেন কৌশিক।
আরও পড়ুন- 'মুকুলের বিধায়ক পদ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন', বিধানসভার স্পিকারকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
তারপর প্রতিবেশীদের তরফে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে ওই বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার করে। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতদেহ বলে তেমন কিছুই নেই। তা পচে প্রায় বিছানার সঙ্গে মিশে গিয়েছে। কঙ্কালে (Skeleton) পরিণত হয়েছে। চোখ-নাক-মুখ কোনও কিছু দেখে চেনার উপায় নেই। যদিও কীভাবে সংগ্রাম দের মৃত্যু হয়েছে তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রতিবেশী এবং কৌশিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন- 'মুখ্যমন্ত্রীর অভিনয়ের জন্য আমরা হয়তো অস্কার পেতাম', মমতাকে কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার