টাটারা বিনিয়োগ করছে রাজ্যে, ১১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি করে ঘোষণা মমতার

সিঙ্গুরের তিক্ত স্মৃতি ভুলে আবারও বাংলায় বিনিয়োগ করবেন টাটারা। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে রাজ্য সরকারের একটি অনুষ্ঠানে তেমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের অনুষ্ঠানে মমতার মূল লক্ষ্যই ছিল রাজ্যের উন্নয়ন মানচিত্রে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে তুলে তুলে ধরা

Saborni Mitra | Published : Sep 12, 2022 2:09 PM IST / Updated: Sep 12 2022, 08:36 PM IST

সিঙ্গুরের তিক্ত স্মৃতি ভুলে আবারও বাংলায় বিনিয়োগ করবেন টাটারা। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে রাজ্য সরকারের একটি অনুষ্ঠানে তেমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের অনুষ্ঠানে মমতার মূল লক্ষ্যই ছিল রাজ্যের উন্নয়ন মানচিত্রে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে তুলে তুলে ধরা। আর সেই কারণে এদিন ১১ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণ - তরুণীর হাতে নিয়োগপত্রও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। 


নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই রাজ্যের জলপাইগুড়ির রানিনগরে টাটারা ইউনিট তৈরি করছে। সেখানে  ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তারা। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন রাজ্য সরকারের উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। এদিন তিনি বলেন তাঁর সরকার চাকরি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। গোটা দেশে যখন কর্মসংস্থান কমেছে বাংলায় তখন কর্মসংস্থা বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। 

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন রাজ্যের মেয়েদের কর্মসংস্থানও গুরুত্বপূর্ণ  তাঁর কাছে। আর সেই কারণে তিনি স্কুল ড্রেস স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছেন। মমতার কথায় এই রাজ্যে গত এক বছরে ৪৫ হাজার মেয়ে চাকরি পেয়েছেন। মেয়েরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এদিন প্রশিক্ষিত তরুণ তরুনীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন কোন জেলা থেকে কতজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হল। আগামী দিনে খড়গপুর, মুর্শিদাবাদ ও শিলিগুড়ি এই তিনটি এলাকায় আরও ৩০ হাজার প্রশিক্ষিতের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি রাজ্যের তরুণ প্রজন্মের চাকরি বা কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিচ্ছেন। আর সেই কারণেই প্রশিক্ষণ, উৎকর্ষ বাংলা - এজাতীয় প্রকল্পগুলিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। মমতা এদিন বলেন তাঁর আমলে বাংলা অনেকটাই এগিয়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তিনি আরও যেসব পদক্ষেপ করেছেন সেগুলির কথাও তুলে ধরেন। 

তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল এই রাজ্যে টাটাদের বিনিয়োগ। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাগাতার আন্দোলনের জন্যই  সিঙ্গুর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল টাটারা। কৃষি জমি অধিগ্রহণ করতে বাধা দিয়েছিলেন তিনি। সিঙ্গুরে ধর্না অবস্থান আর অনশন করেছিলেন। লাগাতার আন্দোলনের কারণে তৈরি হয়নি ন্যানো কারখানা। যা বর্তমানে রয়েছে সানন্দে। সেই সময়ই টাটারা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা না বললেও  তিক্ততা যে তৈরি হয়েছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

নেত্রীর নির্দেশে চায়ের দোকানই মন্ত্রীর কার্যালয়, অন্য নজির তৃণমূল নেতা তাজমুল হোসেনের

'আমাকে ব্যবহার করে কেউ সম্পত্তি বাড়াক চাই না', দুর্নীতি নিয়ে বড় কথা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের

পাকিস্তানের হারে রেগে আগুন শোয়েব আখতার, বাবরদের তুলোধনা করলেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস

Read more Articles on
Share this article
click me!