কেউ জঙ্গি, কেউ মুখ্যমন্ত্রীকে মারবেন, পত্রবানে বিপর্যস্ত খিদিরপুরের স্কুল শিক্ষকরা

  • খিদিরপুর অ্যাকাডেমি স্কুলের ঘটনা
  • শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বেনামে চিঠি দিয়ে অভিযোগ
  • জঙ্গি যোগ, দুর্নীতির অভিযোগ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে
  • টানা তদন্তে নাজেহাল স্কুলের শিক্ষকরা
     


স্কুলের কোনও শিক্ষক মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যার ছক কষছেন, কারও সঙ্গে আবার জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ রয়েছে। কলকাতার খিদিরপুরের একটি স্কুলের শিক্ষকদের নামে এমনই অভিযোগ তুলে বার বার বেনামে চিঠি যাচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের শীর্ষ স্তরে। আর তার জেরেই তদন্তের মুখে পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে স্কুলের পঠনপাঠনই বন্ধ হওয়ার জোগাড়। 

আরও পড়ুন- 'সরকার কি দয়া করছে', শিক্ষকদের অনশন মঞ্চে গিয়ে প্রশ্ন কৌশিক সেনের, দেখুন ভিডিও

Latest Videos

লাগাতার এমন হয়রানির মুখে পড়ে রীতিমতো ক্লান্ত খিদিরপুর অ্যাকাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ তেরোজন শিক্ষক। অভিযোগ, ২০১৩ সাল থেকে ওই শিক্ষকদের নামে জেলা প্রশাসন, বিধায়ক, স্কুল পরিদর্শকের অফিস আবার কখনও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিআইডি-তে চিঠি দিয়ে বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকী, অভিযোগের চিঠি পৌঁছেছে নবান্নতেও। 

ওই চিঠিগুলি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু তাতে অভিযোগকারীর ঠিকানা থাকে না। স্কুলের বাংলা শিক্ষক মহম্মদ সালেহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তিনি বাংলাদেশের একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এনসিসি অফিসার হওয়ার সৌজন্যে তিনি ফোর্ট উইলিয়ামের ছবি তুলে জঙ্গিদের দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয় চিঠিতে। আবার ইংরেজির শিক্ষক ঋতুপর্ণ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের চক্রান্ত করেছেন বলে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। বাংলার এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মিড ডে মিলের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ আনা হয়েছে।  এভাবেই বাকি শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও একই কায়দায় নানা অভিযোগ আনা হয়েছে। 

প্রতিবারই এই চিঠিগুলির প্রেরকের নাম বদলে যায়। চিঠিতে প্রেরকের কোনও ঠিকানাও থাকে না। যে নামে চিঠি পাঠানো হচ্ছে, সেগুলিও নকল বলেই মনে করছেন শিক্ষকরা। 

প্রতিবারই এমন অভিযোগ পেয়ে স্কুলে কখনও পুলিশ, কখনও সিআইডি  কখনও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তদন্তে এসে অভিযুক্ত শিক্ষদের জেরা করেছেন। এমন কী, তাঁদের বাড়িতেও হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। লাগাতার এই ধরনের তদন্তের মুখোমুখি হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন শিক্ষকরা। মানসিক হয়রানির মধ্যে পড়ছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও। এই অবস্থায় ছাত্রদের পড়ানোতেও তাঁরা মন দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ। শিক্ষকদের পাল্টা প্রশ্ন, বেনামে চিঠি দিয়ে যাঁরা এভাবে বার বার মিথ্য অভিযোগ করছে, তাদের কেব খুঁজে বের করতে পারছে না পুলিশ? ভুয়ো চিঠির জেরে বিপর্যস্ত শিক্ষকদের একটাই দাবি, এই হয়রানি থেকে এবার তাঁদের মুক্তি দেওয়া হোক। 
 

Share this article
click me!

Latest Videos

'তৃণমূলে নেওয়ার জন্য অর্জুন সিং-য়ের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে'- Sukanta Majumdar #shorts #sukantamajumdar
Fake Passport Case: ঠিকানা বদলেও হল না লাভ, গ্রেফতার পাসপোর্ট জালিয়াতির পাণ্ডা মনোজ গুপ্ত
Puri-র সৈকতে পর্যটকদের ঢেউ! খাওয়া দাওয়া আড্ডার মধ্যে দিয়ে বাঙালির শীত উদযাপন, দেখুন
১৫ দিন পরও অধরা বিধাননগরের কাউন্সিলর, পুলিশকে ধুয়ে যা বললেন Sukanta Majumdar
'মাননীয়া আপনি রেখা পাত্রের কাছে হারবেন', মমতাকে একহাত নিলেন শুভেন্দু | Suvendu on Mamata