'তীব্র গরমে ক্লাসে মাস্ক পরা খুব কষ্টের', স্কুল ছুটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন শিক্ষকরা

 টানা ৫৮ দিন তীব্র দাবদাহ রাজ্যে। ইতিমধ্য়েই তাপপ্রবাহ চলছে। এরই মধ্যে স্কুলের গরমের ছুটি এগিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।স্কুল ছুটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকরা। 

Web Desk - ANB | Published : Apr 28, 2022 12:24 PM IST / Updated: Apr 28 2022, 06:54 PM IST

স্কুল ছুটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকরা। উল্লেখ্য, টানা ৫৮ দিন তীব্র দাবদাহ রাজ্যে। ইতিমধ্য়েই তাপপ্রবাহ চলছে। এরই মধ্যে স্কুলের গরমের ছুটি এগিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এই মাত্রা ছাড়ানো গরম ক্লাস করানোর অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে শহরের এক শিক্ষিকা বললেন, 'গরমটা খুবই পড়েছে ঠিক কথাই। বাচ্চারা স্কুলে আসছে। প্রথমে কথা হয়েছে মর্নিং শিফট করার জন্য। তবে মর্নিং শিফট করলেও এটা অসুবিধা হত। কেন না, আমাদের স্কুল শুরু হয়, ১১ টা থেকে। ছুটি সাড়ে ৩ টে। সাড়ে তিনটে ছুটি হওয়াটা যতোটা কষ্টের, সকাল সাতটা থেকে ১০ এটাও প্রায় একই কষ্ট। হয়তো সামান্য কম বেশি হতো। আমার স্কুলেও বাচ্চারা অসুস্থ হয়েছে। ছুটিটা তাই ঠিক আছে। যদিও আমাদের অনলাইন ক্লাসটা হয়। তবে পড়ুয়াদের ছুটি হলেও আমাদের স্কুলে আসতে হয় রোজই। কারণ আমাদের বাংলা-ইংরেজি দুটো মিডিয়ামই পাশাপাশি চলে।'

অপরদিকে, দীর্ঘদিন কোভিডের জেরে স্কুলের দরজা বন্ধ ছিল। তারপরে খুলতে না খুলতেই ফের দীব্রদাহ। আর তারই মধ্যে ক্লাসের ভিতর মাস্ক পড়ে থাকা, এই প্রসঙ্গে ওই শিক্ষিকা বলেছেন,  'এটা অবশ্যই কষ্টের। বাচ্চা মাস্ক পরে আসছে, এটা সত্য়িই কষ্টের। আমরাই গরমে রাখতে পারছি না।সেক্ষেত্রে ওদের তো আমরা একেবারেই জোর করতে পারি না। তবে আমরা যতটা সম্ভব কোভিড বিধি মেনে চলছি। স্কুলে ঢোকার আগে হাতে স্যানিটাইজার, টিফিনের আগে বা খাওয়ার আগে হাতে সাবান এগুলি আমরা করছি।' প্রসঙ্গত, বুধবার নবান্নে সাংবাদিকদের সামনে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২ মে থেকে সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে যাচ্ছে। স্কুল কবে খুলবে অর্থাৎ গরমের ছুটি কবে শেষ হবে, তার তারিখ এখনও জানানো হয়নি। তবে বলা হয়েছে ১৫ থেকে ২০শে জুনের মধ্যে স্কুল ফের খোলা হবে। অতিরিক্ত গরমে যাতে কোনও পড়ুয়া অসুস্থ না হয়ে পড়ে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত মমতার। 

আরও পড়ুন, ইউক্রেন ফেরত ৪২২ জন পড়ুয়ার ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার, নবান্ন থেকে বড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

উল্লেখ্য, শুধু সরকারি স্কুলগুলিতেই নয়, রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিকেও এই বিষয়টি মানবিকতার সঙ্গে দেখার আবেদন করেছেন মমতা। তিনি বলেছেন দোসরা মে থেকে গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়া যায় কীনা, তা ভেবে দেখা হোক। অতিরিক্ত গরমে বাচ্চারা বাইরে টিফিন খাচ্ছে, স্কুল থেকে বাড়ি যাতায়াত করছে। তাই তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন মমতা। তিনি বলেন তাঁর কাছে তথ্য এসেছে যে স্কুলে যেতে গিয়ে অনেক বাচ্চাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তাদের নাক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। এই মাত্রাতিরিক্ত গরমে পড়ুয়াদের স্কুল আসার বিষয়টি ঝুঁকির হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে গরমের ছুটি। এতে ছাত্র ছাত্রীদের অসুস্থতা কিছুটা হলেও এড়ানো যাবে।

আরও পড়ুন, 'দুর্নীতিতে নাম জড়ালে কাউকেই ছাড়া হবে না', কড়া বার্তা মমতার

আরও পড়ুন, নবীনবরণ ঘিরে তোলপাড় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, খোদ তৃণাঙ্কুরের বিরুদ্ধেই অভিযোগ টিএমসিপি-র

Share this article
click me!