সংক্ষিপ্ত

'দুর্নীতিতে নাম জড়ালে কাউকে ছাড়া হবে না', বুধবারের বৈঠকে কড়া বার্তা মমতার। তবে এখানেই শেষ নয়, এখানে মুখ্যমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করে দেন, নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও এরকম কিছু করলে ছাড় পাবে না।'

'দুর্নীতিতে নাম জড়ালে কাউকে ছাড়া হবে না', বুধবারের বৈঠকে কড়া বার্তা মমতার। এদিন মমতা বলেছেন, 'যে যত বড় নেতাই হোক না কেন, দুর্নীতিতে নাম জড়ালে কাউকে ছাড়া হবে না। বিশেষ করে  অবৈধ বালি তোলা, তোলাবাজি , চাকরি দেওয়ার মতো নাম করে অভিযোগ এলে যে দলের যত বড়ই নেতাই হোক না কেন , তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখানেই শেষ নয়, এখানে মুখ্যমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করে দেন, নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও এরকম কিছু করলে ছাড় পাবে না।'

এদিন মূলত দুয়ারে সরকারের শিবির নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকের বিভিন্ন জেলার এসপি-ডিএমদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসকদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রেশমি কোমলের সঙ্গে কথা বলার সময় গড়বেতায় অবৈধভাবে গাছ কাটার বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এপ্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'যে যত বড় নেতাই হোক না কেন, দুর্নীতিতে নাম জড়ালে কাউকে ছাড়া হবে না। বিশেষ করে  অবৈধ বালি তোলা, তোলাবাজি , চাকরি দেওয়ার মতো নাম করে অভিযোগ এলে যে দলের যত বড়ই নেতাই হোক না কেন , তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অনেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি দেওয়া হবে বলে টাকা তুলছে, আমি সব খবর রাখি। আমি যখন বলেছি বড় নেতাকেও ছাড়া হবে, তখন ছাড়া হবে না।' একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, কোনও নেতার ব্যক্তিগত দুর্নীতির দায়, তার দলের হতে পারে না।'

আরও পড়ুন, 'হাঁসখালি-বগটুইয়ের জন্য পুলিশের গাফিলতিই দায়ী, এর দায় নেবে না সরকার', বিস্ফোরক মমতা

আৎও পড়ুন, অনুব্রত-র দেহ রক্ষীর গাড়ি দুর্ঘটনাকে ঘিরে 'ষড়যন্ত্র' ? সিবিআই তদন্তের দাবি অনুপম হাজরার

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জেলা ধরে ধরে পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসকদের সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। পূর্বমেদিনীপুরের বিভিন্ন থানার আইসি  কারও কারও ব্যক্তিগত তাবেদারি করছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইভাবেই হাঁসখালি এবং বগটুইকাণ্ডে পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ড কীভাবে ঘটল এদিন নবান্নে বুধবারের জরুরী বৈঠকে সে প্রসঙ্গে রানাঘাটের পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করে মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলে, হাঁসখালির ঘটনা কীভাবে ঘটল। কেন খবর নেওয়া হয়নি, কেন দেরীতে খবর পেল পুলিশ। পুলিশের গাফিলতিতে সরকার কেন ভুগবে। মন্ত্রীদের সোর্স কাজে লাগাতে হবে। হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবার পুলিশকে এক কথা বলছে। আবার সিবিআই-কে আরেক বয়ান দিচ্ছে কেন, এদিন প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, 'কোথাও কিছু হলে প্রত্যাঘাত তো হবে। যদি ডিএসপি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যেতে তাহলে এটা হত না। রামপুরহাটে অনেক ভূল হয়েছে, তার খেসারত দিতে হয়েছে সরকারকে।'

আরও পড়ুন, ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে তরুণীকে অসংখ্যবার ধর্ষণ, শিউরে উঠেছে কোন্নগরবাসী, ধৃত ৪