শুক্রবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের সময় সায়নীর এই মন্তব্যের জবাব দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "উনি নিজেকে কি মনে করেন? আমরা প্রথম মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বিদেশ মন্ত্রী করেছি। চারজন মহিলা রাজ্যপাল আমরা করেছি। অবশ্য তৃণমূলে একজনই পুরুষ আছেন, বাকি সব মহিলা।"
বৃহস্পতিবারই বিজেপির (BJP) সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। টুইট (Tweet) করে একথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এরপর শ্রাবন্তীর বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সেই দলে মহিলাদের স্থান নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। আজ তাঁর সমালোচনার পাল্টা জবাব দেন বিজেপর সর্ব সভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর মতে, "বিজেপিই মহিলাদের (Woman) সম্মান দেয়। তৃণমূলে তো একজনই পুরুষ রয়েছেন, বাকি সব মহিলা।" আর তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
শ্রাবন্তীর বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণার পর এ প্রসঙ্গে সায়নী বলেছিলেন, "কোনও মহিলার পক্ষেই বিজেপিতে থাকা সম্ভব নয়। বিজেপি নারীবিদ্বেষী দল।" শুক্রবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের সময় সায়নীর এই মন্তব্যের জবাব দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "উনি নিজেকে কি মনে করেন? আমরা প্রথম মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বিদেশ মন্ত্রী করেছি। চারজন মহিলা রাজ্যপাল আমরা করেছি। অবশ্য তৃণমূলে একজনই পুরুষ আছেন, বাকি সব মহিলা।"
আরও পড়ুন- জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে স্ক্রাব টাইফাস, বাড়ছে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা
এদিকে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের একজন পুরুষ বলতে যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বুঝিয়ে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে এই মন্তব্যকে প্রশংসা হিসেবেই নিয়েছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। কারণ তাদের মতে, কটাক্ষ করতে গিয়ে আদতে তৃণমূল সুপ্রিমোর শক্তিকে স্বীকার করে নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন, Ajay Kumar Bhalla: আজই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, BSF-র ইস্যুতে জরুরি বৈঠক
এরপর শ্রাবন্তীর দলত্যাগ প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন দিলীপ। পাশাপাশি তারকাদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গেও সরব হয়েছেন তিনি। বলেন, "এদের কত দিন রাস্তায় দেখা যায়! এদের কখনও রাস্তায় দেখেছেন? কার্যকর্তারা রাস্তায় মার খাচ্ছেন। এটা হচ্ছে রাজনীতি। কেউ ভাবে বাড়ি বসে থাকব আর মালা চড়াবে এটা হয় না। লকেটও তো সিনেমায় ছিলেন। তিনি পার্টিতে এসেছেন লড়াই করেছেন, দল গুরুত্ব দিয়েছে। নেত্রী হয়েছেন। লোক কেন ভোট দেবেন? যাঁরা করছেন তাঁদের ভোট দিচ্ছেন। আর তৃণমূল নেতাদের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন কারণ ওখানে গেলে কাজ পাওয়া যায়। যাঁরা যাচ্ছেন কারণ তাঁদের কোনও সিনেমায় অভিনয় করতে দেওয়া হয় না। তাই চলে যাচ্ছেন।"
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সফরের দিনেই অঘটন, সীমান্তে BSF-র গুলিতে মৃত্যু ৩ গ্রামবাসীর
এদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টলিপাড়ার একাধিক তারকা যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে। বিজেপি ও তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন বহু তারকা। তার মধ্যে শ্রাবন্তীও তুলে নিয়েছিলেন বিজেপির পতাকা। এদিকে তারকাদের দলে যোগ দেওয়ানো পাশাপাশি তাঁদের নির্বাচনের টিকিট দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন দলের একাংশ। তবে নির্বাচনে বেহালা পশ্চিম থেকে তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান শ্রাবন্তী। তখন থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব শুরু হয়েছিল। অবশেষে গতকাল বিজেপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করেন তিনি। তবে তারকাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সেই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, "রাজনীতিতে দেখা হয় পরিচিত মুখ কি না, কতটা মানুষ চেনেন। তাই দল নিয়েছে। তৃণমূলও করেছে। পার্টিও নির্বাচনের আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারকা বলেই তো গুরুত্ব দেওয়া হয়। রাজনীতিতে অনেক কিছু করতে হয়, কখনও সফল হয়, কখনও হয় না।"