ছট পুজোর তাণ্ডবে ব্যথিত, বাঙালি ভোটারদের মন পেতেই কি নিন্দায় অভিষেক

  • ছট পুজো নিয়ে টুইট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
  • ছট পুজোর নামে তাণ্ডবে ব্যথিত
  • টুইট করে জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
  • অভিষেকের টুইট ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা
     

debamoy ghosh | Published : Nov 5, 2019 6:02 PM IST / Updated: Nov 05 2019, 11:34 PM IST


পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো হওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের প্রশয়কেই দায়ী করা হচ্ছে। সরোবরে ছট পুজো আটকাতে কেন প্রশাসন কড়া হল না, তা নিয়ে সরব হয়েছেন পরিবেশপ্রেমী থেকে সাধারণ মানুষ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ছট পুজোর আয়োজনে সবরকম সহযোগিতা করবে সরকার। 

এই পরিস্থিতে ছট পুজো নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ টুইট করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত রবিবার করা টুইটে ছট পুজোর নামে তাণ্ডবের নিন্দা করেছেন। অভিষেক লিখেছেন, ছট পুজোর আয়োজনের নামে যে তাণ্ডব হয়েছে, তাতে তিনি ব্যথিত। অভিষেক লিখেছেন, 'ধর্মাচারণ কারও ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে, কিন্তু উৎসব সবার জন্য। তবে মনে রাখতে হবে উৎসবের নামে তাণ্ডব করলে সেই ধর্মকেই ফিকে লাগে।' এর পরেই হ্যাশট্যাগ দিয়ে বুঝিয়েছেন, ছট পুজোর তাণ্ডবেই তিনি ব্যথিত। 

 

 

অভিষেকের এ হেন টুইট যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ছট পুজোর সকালে পুণ্যার্থীদের তাণ্ডবেরই সাক্ষী ছিল রবীন্দ্র সরবোর। গেটের তালা ভেঙে জোর করে ভিতরে ঢুকে সরোবরে ছট পুজো করেন পুণ্যার্থীরা। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ ভেঙে সরোবরের জলের মধ্যেই চলে যাবতীয় আয়োজন। এসবের পরের দিনই রবীন্দ্র সরোবরের জলে ভেসে ওঠে মরা মাছ, কচ্ছপ। 

আরও পড়ুন- আদালতের নির্দেশ ভেঙে ছট পুজোর চেষ্টা, রবীন্দ্র সরোবরে তুলকালাম, দেখুন ভিডিও

আরও পড়ুন- আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ছট পুজো, রবীন্দ্র সরোবরে ভেসে উঠল মরা মাছ

রাজনৈতিক মহলের মতে, ছট পুজো উপলক্ষে এই বেনিয়মের সঙ্গে যেভাবে শাসক দলের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে, তাতে যুব সমাজ এবং শহর কলকাতার ভোটারদের একটা বড় অংশের মধ্যে শাসক দলকে নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে। অবাঙালি ভোট ধরে রাখতে গিয়ে হাতছাড়া হতে পারে বাঙালি ভোটও। এই অবস্থায় ভারসাম্য রক্ষা করে ছট পুজোর নামে তাণ্ডবের নিন্দা করে অভিষেক আসলে ভারসাম্যের রাজনীতি করলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। 

অভিষেকের এই বক্তব্যকে টুইটারে অনেকেই সমর্থন জানালেও শাসক দলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। পৌলমী নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'ভোটের জন্য কত কী! একটা আইন আনতে পারছেন না। বাঙালিদের ভোট হারিয়ে গেলে আর কিন্তু ফেরার রাস্তা নেই।' সোনু সাহা নামে অন্য একজন সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, 'এত লোক যখন হয় তাহলে ব্যবস্থা করেননি কেন? সবার জন্য সমান সুযোগ দিন।'

 

 

Share this article
click me!