পুরভোটে ওয়ার্ডের মনোনীত প্রার্থী সুকুমার দাসকে পছন্দ নয়, তার বিরুদ্ধে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের ওপর অভিযোগ । তাই সকাল থেকেই শহরের রাস্তায় বসে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের ।
'ওয়ার্ডের ভাল হবে না', পুরভোটে (Kolkata Municipal Polls) নিজেদের মনোনীত প্রার্থী পছন্দ না হতেই বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের (TMC Worker)। পুরভোটে ওয়ার্ডের মনোনীত প্রার্থী সুকুমার দাসকে পছন্দ নয় ( Sukumer Das candidate of ward 103), সাফ জানাল ১০৩ নম্বরের তৃণমূল কর্মীরা। তার বিরুদ্ধে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের ওপর অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মীরা। তাই সকাল থেকেই শহরের রাস্তায় বসে বিক্ষোভ।
যাদবপুর সন্তোষপুর ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মনোনীত হয়েছিলেন সুকুমার দাস। তবে তৃণমূলের দলীয় কর্মী এবং সাধারণ মানুষের বক্তব্য, ওই ওয়ার্ডের মনোনীত প্রার্থী সুকুমার দাস, তাকে অবিলম্বে সরানো হোক। এবং নতুন অন্য কোন প্রার্থী দেওয়া হোক। তাদের অভিযোগ, সুকুমার দাসের ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের ওপর অভিযোগ রয়েছে। এবং তার বিরুদ্ধে অনেকরকম অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণে দলীয় কর্মীরা এবং সেখানকার সাধারণ মানুষরা তাঁকে একদমই চাইছে না। তাঁদের বক্তব্য যদি তিনি দায়িত্বভার পান, তাহলে ওয়ার্ডের কোনওরকম ভাল হবে না। এই নিয়ে সোমবার ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে সন্তোষপুরে তৃণমূলের দলীয় কর্মী সমর্থকরা সকাল থেকে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। প্রসঙ্গত, প্রার্থী বাছাই নিয়ে একুশের নির্বাচনেও কম ঝামেলা হয়নি। তাই এবার আরও বেশি সঠিক প্রার্থী সনাক্ত করে নামের তালিকা প্রকাশ করেছে ইতিমধ্য়েই তৃণমূল ও বামেরা। গত একুশের নির্বাচনে টিকিট না পেয়েছে তৃণমূল ছেড়ে অনেকেই ক্ষোভে বিজেপি গিয়েছেন। আর এখন প্রেক্ষাপটই অন্যরকম। বড় ভোটের ব্যবধানে বিজেপি হেরে যাওয়ার পর অনেক হেভিওয়েটই ছেড়েছেন গেরুয়া শিবির। তবে শিবির বদল করে তৃণমূলে এসেও টিকিট পাননি পুরোভেটে, এমনও সংখ্যা কম নয়। তাই বলে নিজেদের দলে মনোনীত প্রার্থী পছন্দ বলে একেবারে রাস্তা নেমে বিক্ষোভ দেখে , পুরভোটের আগে অবাক কলকাতাবাসী।
এদিকে এদিনই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বিজেপি। তারপরেও যে আবার একুশের উল্টো ছবি উঠে আসবে, তাই বা কে হল করে বলতে পারে বলে চাপান উতো রাজনৈতিক মহলে। যদিও একভাবে ভাঙনের পর প্রার্থী বাছাই নিয়ে এবার খুবই সময় নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, তাঁরা নবীন এবং অভিজ্ঞ কর্মীদের জায়গা দেবেন প্রার্থী তালিকায়। ভারসাম্যের ভিত্তিতে শক্তিশালী প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হবে।বিজেপি সূত্রে খবর, কলকাতা পুরভোটের ১৪৪ ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে চেয়ে ইতিমধ্যেই পাঁচশোর বেশি আবেদন জমা পড়েছে দলের কাছে। সূত্রের খবর, সেই আবেদনে নতুন মুখের পাশপাশি দলের পুরোনো সদস্যরাও রয়েছেন। পাশাপাশি হাওড়াতেও ৫০টি ওয়ার্ডের প্রার্থী হতে চেয়ে ২০০-র বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এছাড়া, সরাসরি রাজ্য দফতরের আবদন বক্সেও জমা পড়েছে একশোর বেশি বায়োডাটা। তবে সোমবার যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে পুরভোটের আগে দুই শিবিরেই কাছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।