আশঙ্কাই সত্য়ি হল। টলিউড অভিনেত্রী সাংসদের বাবার শরীরে মিলল করোনার ভাইরাস। প্রাথমিক পরীক্ষায় কোভিড১৯ পজিটিভ আসায় দ্বিতীয় পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য় অপেক্ষা করছে পরিবার। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেই সেই পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন সাংসদ।
চিকিৎসকের পর এবার করোনা আক্রান্ত নাইসেডের ল্যাব টেকনিশিয়ান.
সূত্রের খবর, সোমবার সকালে অভিনেত্রীর বাবার লালারসের নমুনা নেওয়া হয়। শরীরে করোনার উপসর্গ সন্দেহ হতেই ঝুঁকি নেননি চিকিৎসকরা। বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাবেই কোভিড পরীক্ষা হয়। যেখানে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জানা গিয়েছে, সংশয় দূর করতে দ্বিতীয় পরীক্ষা সরকারি হাসপাতালে করাতে চান পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার রাতের মধ্য়েই সেই রিপোর্ট চেল আসার কথা। ইতিমধ্য়েই স্বাস্থ্য় ভবনে গিয়েছে সেই রিপোর্ট।
এক দিনে আক্রান্ত ১০, রাজ্য়ে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১২০.
একটি সংবাদ মাধ্য়মকে অভিনেত্রী সাংসদ পজিটিভ রিপোর্টের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। যদিও কোথা থেকে তাঁর বাবার শরীরে সংক্রমণ তা বুঝতে পারছেন না তিনি। অভিনেত্রী জানান,তাঁর বাবার বিদেশ যাত্রার কোনও ইতিহাস নেই। এমনকী সম্প্রতি কলকাতার বাইরেও যাননি তিনি। তবে তাঁর বাবা যে বাজারে গিয়েছিলেন তা জানিয়েন খোদ সাংসদই। তাঁর আশহ্কা সেখান থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
সম্প্রতি ওই অভিনেত্রী-সাংসদ জানিয়েছিলেন,সাধারণ জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাঁর বাবা। তাঁর কোনও শ্বাসকষ্ট ছিল না। এমনকী ডায়াবিটিসের রোগী হওয়া সত্ত্বেও কোনওদিন ইনসুলিন নিতে হয়নি তাঁকে। রবিবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেত্রীর বাবাকে। এরপর থেকেই খবর রটে যায়,করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সাংসদের বাবা। জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট রয়েছে সাংসদের বাবার। এমনকী করোনার উপসর্গ থাকায় তাঁর লালারস কোভিড১৯ পরীক্ষার জন্য় পাঠানো হয়েছে। যদিও সোমবার বাবার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সংবাদ মাধ্য়মের সামনে আসেন অভিনেত্রী। তিনি জানান, তাঁর বাবাকে নিয়ে সংবাদ মাধ্য়মে অনেক ভুল তথ্য় রটছে।
সাধারণ জ্বর নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি বাবা,মুখ খুললেন নুসরত.
জানা গিয়েছে, আপাতত স্থিতিশীল টলিউড অভিনেত্রীর বাবা। ডায়াবেটিসের রোগী হওয়ায় প্রথম দিকে ওষুধ কাজ করতে কিছুটা সময় নিয়েছে। কিন্তু এখন জ্বর সেরে গিয়েছে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্য়ে দিয়ে চলায় হাসপাতালে এলেই এখন করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেই কারণেই বাবার লালারস পরীক্ষার জন্য় পাঠানো হয়। সাবধানতা অবলম্বন করতে গিয়েই এই কাজ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে ডায়াবেটিসের রোগী হওয়া সত্ত্বেও বাবা কোনওদিনও ইনসুলিন নিতেন না।
সম্প্রতি মুখ্য়মন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিক অনুদান দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। এমনকী নিজে রাস্তায় নেমে করোনা মোকাবিলায় মাস্ক বিলি করেছেন। একাধিকবার সোশ্য়াল মিডিয়ায় করোনার বিরুদ্ধে প্রচারে দেখা গিয়েছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, কদিন থেকেই জ্বরে ভুগছিলেন তাঁর বাবা। রবিবার সেকারণে ঝুঁকি না নিয়ে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় সাংসদের বাবাকে।