জোড়াবাগান কাণ্ডের রহস্যের জাল উদঘাটন করল পুলিশ। নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের পর খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে নাবালিকা খুনে দারোয়ান জড়িত নয়। খুনের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কেউ। বৃহস্পতিবার সকালে জোড়াবাগানে একটি নয় বছরের শিশুকন্যার গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার হয়। মামাবাড়িতে বেড়াতে এসে খুন হতে হয়েছিল মেয়েটিকে।
আরও পড়ুন-দেবভূমিতে বিপর্যয়, হদিশ মেলেনি পেটের টানে বাংলা ছাড়া ৬ জন শ্রমিকের
ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ঘটনার তদন্তে পেশায় মার্বেল মিস্ত্রি রঘুবীর তাঁতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এলাকার একজন মার্বেল ব্যবসায়ীর শিবশঙ্করের কাছে কাজ করত রণবীর। ওই নাবালিকার মামার বাড়িতে নীচের একটি ঘরে ভাড়াতে থাকতেন রণবীর। তার আসল বাড়ি বিহারের বেগুসরাইয়ে। সেখানে তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ে রয়েছে। ওই বাড়ির দারোয়ান রাম কুমারকে পুলিশ গ্রেফতার করার পরই কলকাতা থেক চম্পট দেয় রঘুবীর।
আরও পড়ুন-রাজ্যের 'খেলসম্মান' অনুষ্ঠান, সম্মানিত হলেন মেহুলি ঘোষ-আতার আলি সহ অন্যরা
পুলিশ সূত্রে খবর, বিরিয়ানির লোভ দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে ঘরে ডেকে নিয়ে যায় রামকুমার। সেই সময় ঘরে ছিল রঘুবীর। মদ ও বিরিয়ানি খাওয়ার পরই ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন করে ওই দুজনই। এরপর ওই নাবালিাকে খুন করে রণবীর তাঁতি। আর তাকে অস্ত্রের জোগান দিয়েছিল দারোয়ান রামকুমার। রামকুমারকে গ্রেফতারের পরই রঘুবীরের কথা জানতে পারে পুলিশ। বিহার থেকে রঘুবীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।