পুলিশ সূত্রে খবর দমদমের বাসিন্দা রাজকুমার পেশায় শিক্ষক। ঘটনার পরই মাথা মুড়িয়ে দাড়ি, গোফ কামিয়ে ফেলেন রাজকুমার ও বিকাশ। এমনকি বাড়ি থেকেও পালিয়ে যান তারা। অবশেষে এগরা থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজকুমারকে এবং কুলতলি থেকে গ্রেফতার করা হয় বিকাশকে।
ভোল পালটেও হল না শেষ রক্ষা। পুলিশের হাতে ধরা পড়ল পুলিশকে মারধরের অভিযোগে অভিযুক্ত দুই বিজেপি কর্মী। গত মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বাধে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদে। ঘটনায় গুরুতর জখম হন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। এরপরই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে ওই বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার দু'দিন পর পুশের হাতে ধরা পড়েন দুই মূল অভিযুক্ত রাজকুমার মাইতি ও বিকাশ ঘোষ। সূত্রের খবর, পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে চুল, দাড়ি, গোঁফ কামিয়ে চেহারা বদলে ফেলেছিলেন দুই বিজেপি কর্মী। তবু শেষ রক্ষা হল না।
পুলিশ সূত্রে খবর দমদমের বাসিন্দা রাজকুমার পেশায় শিক্ষক। ঘটনার পরই মাথা মুড়িয়ে দাড়ি, গোফ কামিয়ে ফেলেন রাজকুমার ও বিকাশ। এমনকি বাড়ি থেকেও পালিয়ে যান তারা। অবশেষে এগরা থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজকুমারকে এবং কুলতলি থেকে গ্রেফতার করা হয় বিকাশকে। ঘটনার পরই 'পুলিশ-পেটানোর' ভিডিও নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বড়সড় গোলমালের আঁচ পেয়েছিলেন তারা। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতেই মাথা বাড়ি থেকে চম্পট দেন রাজকুমার ও বিকাশ। বদলে ফেলে চেহারাও।
প্রসঙ্গত, বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে কলেজ স্ট্রিট থেকে হাওড়ার দিকে আসে একটি মিছিল। হাওড়া ব্রিজের কাছে এসে সেই মিছিল রীতিমত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের সঙ্গে খন্ড যুদ্ধ বাঁধে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। এলোপাথারি ঢিল ছোড়ায় জখম হন একাধিক পুলিশ কর্মী। কলকাতা পুলিশ সূত্রে দাবি লালবাজারের সেন্ট্রাল ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তাঁর উপর চরাও হয় বিক্ষোভকারীরা। দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে একা পেয়ে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় এবং রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনায় হাত ভেঙে যায় কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের। কোনও মতে তাঁকে উদ্ধার করে SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, মহাত্মা গান্ধী রোডে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের একটি গাড়ি।
আরও পড়ুন - জল কামান-কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ বিজেপি কর্মীরা, ২টো ৪০-এ নবান্ন অভিযান শেষ বলে জানালেন দিলীপ ঘোষ
গোটা ঘটনার প্রেক্ষীতে পুলিশের তরফে দুটি মামলা রুজু করা হয়। দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বেধরক মারধরের জন্য ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা ও পুলিশকে মারধর সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এছাড়াও পুলিশের গাড়িতে অগ্নি সংযোগের অভিযোগেও মামলা রুজু কআ হয়। এই ঘটনার পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সাহায্যে শনাক্ত করা হয় দুষ্কৃতীদের। সারা রাত ধরে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় চলে তল্লাশি অভিযান।
আরও পড়ুন- বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, পুলিশের গাড়িতে আগুন- দেখুন সেরা ১৫টি ছবি