বিধাননগরে করোনা আক্রান্ত দুই পরিয়াযী শ্রমিক, ডেপুটি মেয়রের ভূমিকায় ক্ষোভ স্থানীয়দের

  • পেটের দায়ে কাজ করতে গিয়েছিলেন ভিনরাজ্যে
  • ফেরার পর করোনা সংক্রমিত হলেন বাবা-ছেলে
  • আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিধাননগর পুর এলাকায়
  • ডেপুটি মেয়রের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা

Asianet News Bangla | Published : Jun 3, 2020 10:35 AM IST / Updated: Jun 03 2020, 04:07 PM IST

খোদ ডেপুটি মেয়রের হঠকারি সিদ্ধান্তে বিপদ আরও বাড়বে না তো? ভিনরাজ্য থেকে ফেরার পর করোনা সংক্রমণের শিকার হলেন বাবা ও ছেলে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিধাননগরের উত্তর নারায়ণপুর এলাকায়। 

আরও পড়ুন: জেলার সর্বাধিক 'এ'-কনটেনমেন্ট জোন বিধাননগরে, জানুন নিয়মে কী বদল আনছে রাজ্য সরকার

বাবা ও ছেলে দু'জনেই পরিযায়ী শ্রমিক। কাজের সুবাদে থাকতে মহারাষ্ট্রে। লকডাউনের মাঝেই দিন কয়েক আগে বিধাননগরের উত্তর নারায়ণপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে ফেরেন তাঁরা। করোনা আক্রান্ত হননি তো? সংক্রমণের ভয়ে ওই দু'জনকে স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় ঢুকতে দিতে চাননি বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। কারণ খোদ  বিধাননগর পুরনিগমে ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার ছাড়াই তাঁদের বাড়িতে রেখে যান বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত যখন লালারস বা সোয়াব পরীক্ষা করা হয়, তখন বাবা ও ছেলের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। আক্রান্তদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। আতঙ্কই শুধু নয়, ঘটনাটি জানাজানি হতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসীদের দাবি, করোনা আক্রান্ত পরিযায়ী শ্রমিক ছেলেটির মা এখনও ভাড়া বাড়িতে আছেন। তাঁকে যদি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো না হয়, তাহলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। নারায়ণপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আরও পড়ুন: অটো-ট্যাক্সিতেও এবার 'যত সিট তত যাত্রী', স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে কড়াকড়ি

এদিকে স্থানীয়দের আপত্তি অগ্রাহ্য করে করোনা আক্রান্ত বাবা ও ছেলে বাড়ি রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধাননগর পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, 'মহারাষ্ট্র সরকার ওঁদের ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। রাজ্য সরকার হোম কোরায়েন্টাইনে থাকতে বলেছে। এক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নেই। অতিরিক্ত হিসেবে শুধুমাত্র টেস্টটা করিয়েছি।' 

Share this article
click me!