করোনা আতঙ্কের মাঝেই সুখবর। এনআরএস হাসপাতালের চিকিত্সক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী-সহ আরও ৪৩ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। গত মঙ্গলবার ৩০ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যে ৭৯ জনকে গৃহ পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়েছিল তাঁদের মধ্যে ৭৩ জনেরই সংক্রমণ হয়নি। বাকি ৬ জনের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শহরে দেদার শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ, মোট ৯৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
জানা গিয়েছে, এনআরএস-এ এক করোনা রোগীর মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে চিকিত্সক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী-সহ ৭৯ জনকে গৃহ পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, তাদের মধ্য়ে ৭৩ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও তাঁদের গৃহ পর্যবেক্ষণেই থাকতে হবে। তাঁরা পুরোপুরি বিপদমুক্ত কি না তা নিশ্চিত হতে দ্বিতীয় বার পরীক্ষা করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য়, গত ৩০ মার্চ হিমোফিলিয়ার এক রোগীকে প্রথমে পুরুষদের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বুধবার তাঁকে সিসিইউ অর্থাৎ ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালের সিসিইউয়ে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পরে ওই রোগীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরেই স্বাস্থ্য়কর্মীদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
বাড়িতে আলো জ্বালাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, মোমবাতি হাতে রাস্তায় অতি উৎসাহীরা
অপরদিকে, নতুন করে দুই জন করোনা সন্দেহে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত সোমবার রাতে তাঁদের রিপোর্ট পজেটিভ আসায় বেলেঘাটা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দুই জনের মধ্যে একজন ফুটপাতবাসী। একের পর এক করোনার খবরে হাসপাতালে যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আতঙ্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অনেকেই হাসপাতালের কাছেই ভিড়ছেন না। আতঙ্ক এবং উদ্বেগ ছড়িয়েছে হাসপাতালে অন্যান্য় স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও। যদিও করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় হাসপাতালে মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া আলাদা করে হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় ঘোষণাও করা হচ্ছে।
রাজ্য়ে করোনায় আক্রান্ত এবার এক নার্স, পরিবারকে কোয়ারেনটাইনে থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের
করোনা আক্রান্তদের এমআর বাঙ্গুরে স্থানান্তর ঘিরে তুলকালাম, অভিযোগ নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে নার্সরা
পাঁচিল টপকালেই ভাইরাস এক্সপার্ট সেন্টার, তবুও মুখ ফিরিয়ে মেডিক্য়াল কলেজ