কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের গাছাড়া মনোভাবে চটেছে রাজ্য়ের স্বাস্থ্য় দফতর। সূত্রের খবর, দিল্লিতে কোয়ারিন্টিন ভেঙে সম্প্রতি রাজ্য়ে ঢুকেছে নদিয়ার তেহট্টের পরিবার। যার জেরে এক দিনে রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ থেকে ১৫। স্বাস্থ্য় দফতেরের অভিযোগ, কোয়ারান্টিন ভেঙে ওই পরিবারের পালানোর কথা আগে জানলে প্রতিরাধক ব্যবস্থা নিত রাজ্য় সরকার। কিন্তু তথ্য না জানায় তার কোনও সুযোগই পায়নি তারা।
বিদেশ-ফেরত ঔদ্ধত্য়ে এবার করোনা ছড়়ালো নদিয়ায়, ন-মাসের শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন আক্রান্ত.
শুক্রবারই রাজ্যে আরও পাঁচ করোনা আক্রান্তের হদিস পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, এক যুবতীর হাত ধরে করোনা ঢোকে তেহট্টে। সম্প্রতি ওই যুবতীর এক ভাই গত ১৬ মার্চ লন্ডন থেকে দিল্লিতে ফেরেন। দিল্লিতে তাঁকে নিতে আসেন ওই যুবতী-সব পরিবারের কয়েকজন। দিল্লিতেই পরিবারের লোকজনেরা একসঙ্গে দেখা করে। চলে ফ্য়ামিলি মিট। তারপরেই ওই লন্ডনফেরত ভাইয়ের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা যায়। দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপরাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয় তাঁকে। সেই সময়ে চিকিৎসকরা ওই যুবতীকেও কোয়ারেনটাইনে থাকার পরামর্শ দেন।
করোনা বদলে দিল সব সমীকরণ, মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন মোদীর, বাহিনী পাঠানোর আশ্বাস শাহের.
কিন্তু সেই পরামর্শ উপেক্ষা করে রাজধানী এক্সপ্রেসে চেপে শিয়ালদহে চলে আসেন ওই যুবতী ও তাঁর সঙ্গীরা। তারপর সেখান থেকে লালগোলা প্য়াসেঞ্চারে করে পৌঁছন বেথুয়াডহরিতে। সেখান থেকে অটোয় তেহট্টের বার্নিয়া গ্রামের বাড়িতে ফেরেন ওই যুবতী-সহ পরিবারের পাঁচজন। যুবতীর এক সঙ্গী ফেরেন বিমানে করে। আর তারপর থেকেই পরিবারের পাঁচজন আক্রান্ত হন করোনায়। যাঁদের মধ্য়ে রয়েছে ন-মাস ও ছ-বছর বয়সের দুই শিশু এবং ওই যুবতী নিজেও। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অভিযোগ, দিল্লিতে থাকাকালীন পরিবারটির সম্পর্কে রাজ্যকে কোনও রকম তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্যমমন্ত্রক। আগে থেকে পরিবারটি সম্পর্কে জানা থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
অতি সঙ্কটজনক নয়াবাদের করোনা আক্রান্ত, একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা.
আক্রান্তদের শনিবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, মা-বাবা ছাড়া মোট সাতজন সরাসরি ওই যুবতীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। রাজ্য়ের স্বাস্থ্য় দফতর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদের খোঁজে নেমেছে। প্রসঙ্গত, রাজ্য়ে প্রথম করোনা আক্রান্তের সঙ্গে বিদেশ যোগ পাওয়া গিয়েছিল। রাজ্য়ের স্বরাষ্ট্র দফতরের বিশেষ সচিবের ছেলে লন্ডন থেকে আসার পর তাঁর শরীরে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও তিনি কোয়ারেন্টিনে যাননি। বরং সেই অবস্থায় অন্য় অনেকের সংস্পর্শে এসেছিলেন। জানা গিয়েছে, নদিয়ায় যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা।