কড়েয়ার চমরু খানসামা লেনের বাসিন্দা মহম্মদ গুড্ডু নামে বছর তিরিশের এক যুবক। পেশায় তিনি অটোচালক। কাজের ফাঁকে হঠাৎ স্ত্রী-এর ফোন, 'তুমি সুস্থ আছো তো!' গুড্ডু তার উত্তরে জানান, তিনি ঠিক আছেন, তবে হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন? জানতে চান গুড্ডু। উত্তরে তাঁর স্ত্রী জানান, 'বাড়িতে একজন অপরিচিত লোক এসে বলে তুমি হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছো।' উত্তরে গুড্ডু বলেন, তিনি সুস্থ আছেন চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। এরপর কাজের শেষে গুড্ডু বাড়ি ফিরে দেখেন স্ত্রী বাড়িতে নেই। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ। অনেক খোঁজার পর স্ত্রী-কে খুঁজে পাওয়া যায় নি। এমন সময় মহম্মদ গুড্ডু-র কাছে ফোন আসে, স্ত্রী কে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, চাহিদা মত টাকা না দিলে মেরে ফেলা হবে।
আরও পড়ুন - ১১ তেই হাত পা কাঁপছে শহরের, আশঙ্কা আরও ৩ ডিগ্রি কমার
এমন একটি ফোন আসায় একটুও সময় নষ্ট না করে মহম্মদ গুড্ডু কড়েয়া থানায় স্ত্রী-র নিরুদ্দেশ সম্পর্কে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে লালবাজার থানার গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত চালান। ঘটনার দুদিন পর বুধবার শিয়ালদহের একটি হোটেল থেকে মহম্মদ গুড্ডু-র স্ত্রী ও রাম পারভেজ শেখ দিওয়ান নামে এক যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। দুজনেই হোটেল থেকে গুড্ডু-কে ফোন করে অপহরনের ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছিল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- 'ভুল বুঝিয়ে রাজ্যে ছড়াচ্ছে হিংসা', মুর্শিদাবাদ ও মালদহে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ রাজ্যপালের
পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এর আগেও নাকি গুড্ডুর চোখে ধুলো দিয়ে অনেকবার বাইরে থেকেছেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু কখনোই এমন ঝামেলায় পরতে হয় নি। তবে এবার অপহরনের ফন্দি আঁটতে গিয়েই এই অবস্থা হয়। এই বিষয়ে আরও জানা গিয়েছে, নয়া দিল্লির একটি বারে কাজ করেন রাম পারভেজ নামের ওই ব্যক্তি, কিছু দিন আগেই শহরে এসে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি। যেহেতু অপহরণের অভিযোগ করা হয়েছে, তাই আপাতত পুলিশি হেফাজেতই রয়েছে রাম পারভেজ। আদালতে এই মামলার সমাধান হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।