শরীরে করোনার উপসর্গ দেখায় আলাদা থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। বেলেঘাটা আইডিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মক্কা ফেরত মহিলাকে। কিন্তু হাসপাতালে থেকে উধাও হয়ে রাজ্য়বাসীর আতঙ্ক বাড়ালেন ওই মহিলা। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় থানায় খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
করোনায় আক্রান্ত গ্রাহক, আতঙ্কে বিছানা বয়কটে নিষিদ্ধপল্লীর মেয়েরা
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল জ্বর নিয়ে এসেছিলেন এক মহিলা। মক্কা থেকে ফেরার পর দমদম বিমানবন্দরেই থার্মাল স্ক্যানারে তাঁর শরীরে জ্বর ধরা পড়ে। পরে ঝুঁকি নিতে চায়নি স্বাস্থ্য় দফতর। তড়িঘড়ি তাঁকে পাঠানো হয় বেলেঘাটার আইডি হাসপাতালে। সেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ডে মহিলাকে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
পুরভোট পিছোনোর কথা বলবে না বিজেপি, নয়া চালে তৃণমূলকে মাত মুকুলের
যদিও কাউকে কিছু না জানিয়েই সেখান থেকে চলে যান ওই মহিলা। মহিলাকে খুঁজে না পেয়ে বেনিয়াপুকুর থানায় খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ৬ঘণ্টা খুঁজে তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়। বেলেঘাটার বাসিন্দা পুলিশকে জানিয়ে দেন, সরকারি হাসপাতালে থাকবেন না তিনি। বেসরকারি হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসা করাবেন। যদিও এর ফলে কী সমস্যা হতে পারে তা মহিলাকে অবগত করান পুলিশ কর্মীরা।
দলে এলেও পদ্ম কাঁটা, শোভনকে মেয়র প্রোজেক্ট করবে না তৃণমূল
পরে বুঝিয়ে তাঁকে ফের নিয়ে আসা হয় আইডি হাসাপাতালে। ইতিমধ্য়েই মহিলার শরীরের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে দেশে ফেরার পর ওই মহিলা কতজনের সংস্পর্শে এসেছেন, সেটাই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর পরিবারের সবাইকে বাড়ির মধ্যে কোয়ারান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কদিন আগে করোনা আক্রান্ত মহিলার বিরুদ্ধেই এফআইআর হয়েছিল আগ্রায়। অভিযোগ,করোনা শরীরে জেনেও তা লুকিয়েছেন ওই মহিলা। জানা গিয়েছে, ইতালিতে সম্প্রতি মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন নবদম্পতি। সেখান থেকেই শরীরে জ্বর ও সর্দি,কাশি নিয়ে ফেরেন তাঁরা। বিমানবন্দরে কেরানা পরীক্ষায়র পর স্বামী, স্ত্রী দুজনেরই ফল পজেটিভ আসে। দুজনকেই আলাদা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু কথা না শুনে গত ৮ মার্চ বেঙ্গালুরে থেকে দিল্লিতে চলে আসেন ওই মহিলা। তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সে সমস্ত বিধিনিষেধ না মেনে ৮ মার্চ বেঙ্গালুরু থেকে বিমানে করে দিল্লি চলে আসেন ২৫ বছর বয়সি মহিলা। দিল্লিতে তাঁর বাপের বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। তাঁর স্বামী গুগলে কাজ করেন।
সূত্রের খবর, প্রথমে বেঙ্গালুরু থেকে বিমানে করে দিল্লি পৌঁছন ওই মহিলা। পরে সেখান থেকে ট্রেনে করে আগ্রায় যান তিনি। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হতেই তাঁকে আগ্রার এসএন মেডিক্যাল কলেজে পর্যবেক্ষণে রাখে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু করোনার মতো মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও এভাবে তথ্য গোপন করে পালিয়ে আসার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।